• রাজনৈতিক কারণেই ইডেন থেকে ম্যাচ সরিয়ে বাংলাকে ‘বঞ্চনা’? মুখ খুলল বিসিসিআই
    প্রতিদিন | ০২ জুন ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইপিএল ফাইনাল (IPL 2025 Final) ও একটি কোয়ালিফায়ার হওয়ার কথা ছিল ইডেন গার্ডেন্সে। যদিও পরে সেটি সরিয়ে দেওয়া হয় আহমেদাবাদে। বলা হয়েছিল, বৃষ্টির পূর্বাভাসের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেটাই কি ঠিক? নাকি বাংলা থেকে মোদির রাজ্য গুজরাটে সরিয়ে নেওয়ার পিছনে কোনও রাজনৈতিক কারণ আছে? সেই নিয়ে মুখ খুললেন বিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা।

    সাধারণত যে দল আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়, পরেরবার তাদের মাঠে ফাইনাল ও একটি কোয়ালিফায়ার রাখা হয়। এবারও তাই ঠিক ছিল। কিন্তু ভারত-পাক সংঘাতের আবহে আইপিএল কিছুদিন বন্ধ থাকে। নতুন সূচিতে ফাইনালের (IPL 2025 Final) দিন বদলে যায়। সেখানে ইডেনকে ‘বঞ্চিত’ করে ফাইনাল ও একটি কোয়ালিফায়ার রাখা হয় আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে।

    এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বোর্ডের সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা জানান, “এর মধ্যে রাজনীতি খোঁজা উচিত নয়। ম্যাচ সরানোর পিছনে কোনও রাজনৈতিক কারণ নেই। সম্প্রচারকারীদের তরফ থেকে বলা হয়েছিল কলকাতায় ওই সময় বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে গেলে বিরাট ক্ষতি হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান কলকাতায় হয়েছে। আগেও তো ম্যাচের ভেন্যু বদলেছে। এটা নতুন কিছু নয়। তাই এমন জায়গায় সরানো হয়েছিল, যেখানে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম।”

    কিন্তু ঘটনা হচ্ছে, কলকাতায় এর মধ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। অথচ গুজরাটে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের ম্যাচ বৃষ্টির জন্য ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিট পিছিয়ে যায়। তাহলে এই সিদ্ধান্তের কী সারবত্তা রইল? উল্লেখ্য, সোমবার বাংলার ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেছিলেন, “আমি এই নিয়ে আগেই সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলাম। সেখানে জানিয়েছিলাম, ইডেন থেকে ম্যাচ সরিয়ে নেওয়ার পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে। আর এদিন তো এই ব্যাপারে আরও নিশ্চিত হওয়া গেল। ভারতীয় বোর্ড এবং আইপিএলের গভর্নিং বডি যেভাবে আবহাওয়াবিদ হয়ে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বলেছিল, এই সময়ে কলকাতায় বৃষ্টির সম্ভাবনা। তাই কলকাতা থেকে ম্যাচ সরিয়ে নেওয়া হল গুজরাটে। সেই স্যাটেলাইট কি আদৌ আবহাওয়ার খবর দেয়? নাকি এতে কেবল রাজনৈতিক বিষয়ই প্রভাবিত হয়? আসলে ওরা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত হয়ে রিপোর্ট দিয়েছিল। এদিন তা পরিষ্কার।” বাংলাকে যে বঞ্চনা করা হয়েছিল, সেটা নিয়ে সরব বাংলার ক্রীড়ামন্ত্রী।
  • Link to this news (প্রতিদিন)