• JEE মেন পরীক্ষায় টপার, অ্যাডভান্সে কেমন ফল করলেন খড়্গপুরের অর্চিষ্মান?
    এই সময় | ০৩ জুন ২০২৫
  • সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা (JEE)-র মেধা তালিকায় দেবদত্তা মাঝির মতোই রাজ্য থেকে সেরার তালিকায় জায়গা করে নিয়েছিলেন খড়্গপুরের অর্চিষ্মান নন্দী। দেবদত্তার মতোই টপার হয়েছিলেন তিনিও। জয়েন্ট এন্ট্রান্স অ্যাডভান্স পরীক্ষাতেও নিজের সাফল্য ধরে রেখেছেন পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার বাসিন্দা দেবদত্তা। কিন্তু কিছুটা হলেও পিছিয়ে পড়েছেন অর্চিষ্মান।

    পরীক্ষার ফল

    জানা গিয়েছে, জয়েন্ট এন্ট্রান্স অ্যাডভান্স পরীক্ষায় অর্চিষ্মানের অল ইন্ডিয়া র‍্যাঙ্ক ৪৭৭। ৩৬০-এর মধ্যে ২৩৬ নম্বর পেয়েছেন তিনি। অন্য দিকে, গোটা দেশে মেয়েদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন দেবদত্তা। সেই সঙ্গে আইআইটি খড়্গপুর জ়োনেরও টপার তিনি। তাঁর সর্বভারতীয় র‍্যাঙ্ক (CRL) ১৬।

    সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেন পরীক্ষায় টপার হওয়ার পরে অ্যাডভান্স পরীক্ষাতেও অর্চিষ্মানের ওপরের দিকেই থাকবে বলে আশা করেছিলেন তাঁর পরিবারের লোকজন। এই পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হওয়ার পরে তাঁদের মন কিছুটা হলেও খারাপ। তবে, অর্চিষ্মানের বাবা-মার দাবি, তাঁরা হতাশ নন। অর্চিষ্মানের বাবা মিঠুন নন্দী এবং মা অনিন্দিতা মাইতি নন্দী বলেন, ‘জেইই অ্যাডভান্সের ফল আর একটু ভালো হবে বলে আশা করেছিলাম। তবে, এত কঠিন একটা পরীক্ষায় সারা দেশের প্রথম ৫০০ জনের মধ্যে জায়গা করে নিতে পেরেছে। আমরা খুশি।’

    অর্চিষ্মানের লক্ষ্য

    জেইই মেন পরীক্ষায় টপার হওয়া ছাড়াও CBSE-র দ্বাদশ শ্রেণীর ফলাফলেও সর্বভারতীয় মেধাতালিকায় দশম স্থান অধিকার করেছিলেন খড়্গপুর গ্রামীণের চাঙ্গুয়াল এলাকার বাসিন্দা অর্চিষ্মান। তার আগে ICSE পরীক্ষায় সর্বভারতীয় স্তরে পঞ্চম স্থান অধিকার করেছিলেন তিনি। তাঁর লক্ষ্য ছিল অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক তথা দাদু বঙ্কিমবিহারী মাইতির মতোই আইআইটি খড়্গপুরের পড়াশোনা করা। এখন সেই ইচ্ছেটাই পূরণ করতে চাইছেন তিনি।

    জানা গিয়েছে, আইআইটি খড়্গপুর জোন থেকে জেইই অ্যাডভান্সে মোট ৫৩৫৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। অর্চিষ্মানের অল ইন্ডিয়া র‌্যাঙ্কিং ৪৭৭ হলেও, আইআইটি খড়্গপুর জোন থেকে প্রথম কয়েকজনের মধ্যেই তাঁর থাকার সম্ভাবনা আছে সূত্রের খবর।

    অর্চিষ্মানের প্রথম লক্ষ্য আইআইটি খড়্গপুর থেকে কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়া। আর তা নাহলে অইআইটি খড়্গপুর থেকেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) নিয়ে পড়াশোনা করতে চান তিনি। অর্চিষ্মান বলেন, ‘আমার দাদু বঙ্কিমবিহারী মাইতি ১৯৭০ সালে আইআইটি খড়্গপুর থেকে রসায়ন নিয়ে এমএসসি পাস করেন। আমারও একমাত্র লক্ষ্য ছিল দাদুর মতোই আইআইটি খড়্গপুরে পড়ার। আশা করছি, এ বার সেই স্বপ্ন পূরণ হবে।’

  • Link to this news (এই সময়)