সিভিক ভলান্টিয়ার ও স্থানীয় এক যুবকের তৎপরতায় বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেল এক কিশোর। গঙ্গায় স্নান করতে নেমে ডুবে যাচ্ছিল সে। সে সময় ত্রাতা হয়ে দাঁড়ান নদীর ধারে কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ার পার্থ বিশ্বাস ও স্থানীয় যুবক মহম্মদ সামি। পার্থ-সামির যৌথ প্রচেষ্টায় পরিবারের কাছে ফিরে যেতে পেরেছে ওই কিশোর। মগরা থানার বাঁশবেড়িয়া মিল ফাঁড়ি এলাকার শিবপুর রাজারঘাটে সোমবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুর ১টা নাগাদ বাঁশবেড়িয়া শিবপুর রাজারঘাটে কয়েকজন ছেলে গঙ্গায় স্নান করতে নামে। এরই মধ্যে ছিল অভয় সাউ নামে ১৫ বছরের এক কিশোর। আচমকাই জলের তোড়ে ভেসে যেতে থাকে সে।
সে সময় গঙ্গার ঘাটে ডিউটিতে ছিলেন সিভিক ভলান্টিয়ার পার্থ বিশ্বাস। তিনি সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার করে স্থানীয়দের সতর্ক করেন এবং জলে নেমে পড়েন। এ দিকে পার্থকে নামতে ডেকে এগিয়ে আসেন মহম্মদ সামি নামে এক যুবক। সামিই এগিয়ে গিয়ে অভয়কে তুলে আনেন।
ওই সিভিক ভলান্টিয়ার প্রথমে ওই কিশোর পেটে চাপ দিয়ে মুখ দিয়ে জল বের করেন। কিছুটা জল বেরিয়ে যাওয়ার পর কিশোরকে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করান। পরে তাঁকে বাঁশবেড়িয়া ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক সুজিত রায় পরিবারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ছেলেটির মা পুলিশ ফাঁড়িতে পৌঁছন এবং পরিবারের হাতে কিশোরকে তুলে দেওয়া হয়।
অভয়ের মা জানান, সকাল ১১টায় ছেলে বাড়ি থেকে বেরোয়। এর পরই ফাঁড়ি থেকে তাঁদের ফোন করে ছেলের কথা জানানো হয়। ওই কিশোরের মায়ের কথায়, ‘সিভিক ভলান্টিয়ারের জন্যই ছেলেকে ফিরে পেলাম।’
হুগলি গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি (ক্রাইম) অভিজিৎ সিনহা মহাপাত্র জানিয়েছেন, সিভিক ভলান্টিয়ার ও স্থানীয় এক যুবক ডুবে যাওয়া ওই কিশোরকে উদ্ধার করেন। ছেলেটিকে সিপিআর দিয়ে সুস্থ করে তোলেন। পরে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।