সংবাদদাতা, কালিয়াগঞ্জ: স্ত্রীকে খুনে অভিযুক্ত শিক্ষককে স্কুলে রাখা যাবে না। পাশাপাশি শিক্ষিকার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িত থাকার অভিযোগও রয়েছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অতএব ওই শিক্ষককে স্কুলে রাখা যাবে না। এই দাবিতে স্কুলঘরের দরজায় তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন হেমতাবাদের মহিপুর এলাকার বাসিন্দারা।
গরমের ছুটি শেষে সোমবার সকালে মহিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলে। অভিযুক্ত শিক্ষক স্কুলে এলে তাঁকে বাধা দেন পড়ুয়ার অভিভাবকরা। তালা ঝুলিয়ে শিক্ষকদের বাইরে বসিয়ে চলে বিক্ষোভ। পরে হেমতাবাদ থানার পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই শিক্ষককে এলাকা থেকে সরিয়ে দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। ক্লাসরুম খুলে পঠনপাঠন শুরু হয়। এদিনের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে হেমতাবাদ অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক জয়ী দেবনাথ বলেন, ওপরমহলে বিষয়টি জানিয়েছি।
বিক্ষুব্ধ বিলকিস খাতুন ও রাজা মহম্মদের দাবি, এই শিক্ষক স্কুলেরই এক শিক্ষিকার সঙ্গে পরকীয়ায় যুক্ত ছিলেন। পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। আমরা চাই, এই শিক্ষককে অন্য স্কুলে বদলি করা হোক। আমরা স্থানীয় প্রশাসনের কাছে লিখিতভাবে এই দাবিও জানিয়েছি। এই শিক্ষক থাকলে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হবে। অভিুক্ত শিক্ষকের বক্তব্য, কিছু মানুষ ষড়যন্ত্র করে এটা করছেন। ডিপিএসসি’র চিঠি নিয়ে আমি গরমের ছুটি শেষে স্কুলের কাজে যোগ দিতে এসেছি। এই স্কুলে আমি ১৮ বছর ধরে শিক্ষকতা করি। আজ এলাকার কিছু মানুষ আমাকে অপমান করেছেন। এই বিষয়ে আমি প্রশাসনের দ্বারস্থ হব।
গত ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে ওই শিক্ষকের স্ত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হন তিনি। স্কুলের এক শিক্ষিকার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের বিষয়টিও প্রকাশ্যে আসে। সেই সময় অন্য বিদ্যালয়ে বদলি করা হয় ওই শিক্ষিকাকে। সম্প্রতি জামিন পেয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকা মহিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কাজে যোগ দিতে আসেন। কিন্তু স্থানীয়রা এই শিক্ষককে আর এই স্কুলে দেখতে চান না। তাঁকে অন্যত্র বদলির দাবি তুলেছেন। এই দাবিতে এদিনের বিক্ষোভ।