নবদ্বীপঘাট বাসস্ট্যান্ডের বাতিস্তম্ভের আলো দীর্ঘদিন ধরে অকেজো, ক্ষোভ
বর্তমান | ০৩ জুন ২০২৫
সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: প্রায় তিন বছরের বেশি সময় ধরে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে নবদ্বীপঘাট বাসস্ট্যান্ডের সুউচ্চ বাতিস্তম্ভের আলো। সন্ধ্যা নামতেই বাসস্ট্যান্ড চত্বরে নেমে আসে অন্ধকার। বাসকর্মীদের অভিযোগ, অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে মাঝেমধ্যেই বাসের যন্ত্রাংশ চুরির ঘটনা ঘটছে। বাড়ছে বাইরের লোকজনের আনাগোনাও। বাসকর্মী, চালক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বিষয়টি বহুবার প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কিন্তু, আজ পর্যন্ত জ্বলেনি বাতিস্তম্ভের আলো।
উল্লেখ্য, নবদ্বীপঘাট বাসস্ট্যান্ডটি স্বরূপগঞ্জ পঞ্চায়েতের অধীনে। ২০১৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিবহণ দপ্তর ও নদীয়া জেলা পরিষদের যৌথ উদ্যোগে এবং নবদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতির সহযোগিতায় বাসস্ট্যান্ডটির উদ্বোধন হয়। ছ’মাস পর বাসস্ট্যান্ডে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে এই উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বাতিস্তম্ভটি লাগানো হয়। এই স্ট্যান্ডের চারদিকে প্রাচীর থাকলেও তাতে কোনও গেট নেই। রাতে স্ট্যান্ডটি খোলাই থাকে। প্রতিদিন প্রায় ২০টি বাস এই স্ট্যান্ড থেকে নবদ্বীপঘাট ও কৃষ্ণনগরের মধ্যে চলাচল করে। রাতে এই স্ট্যান্ডে থাকে ১৬টি বাস। কিন্তু, এখানে কোনও নিরাপত্তারক্ষী নেই।
নবদ্বীপঘাট-কৃষ্ণনগর ৮নম্বর রুটের বাসস্ট্যান্ডের স্টার্টার প্রদীপ মিত্র বলেন, তিন বছরের বেশি সময় ধরে আলোটি জ্বলছে না। বিষয়টি আমরা একাধিকবার পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ ও বিডিওকে জানিয়েছি। গত বছর রাসের আগে সারানোর পর ঘণ্টা দেড়েকের জন্য আলো জ্বলেছিল। তারপর সেই যে বাতি নিভে গেল, আর জ্বলেনি। চরমাজদিয়া রথতলার বাসিন্দা উদয় কর বলেন, বাসস্ট্যান্ডটি দেখভালের জন্য কোনও লোক নেই। চারিদিকে নোংরা আবর্জনা পড়ে রয়েছে। রাতে বাসস্ট্যান্ড চত্বরে অন্ধকার থাকায় এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা যায় না।
নবদ্বীপঘাট-কৃষ্ণনগর রুটের কন্ডাক্টর সঞ্জিত কর বলেন, রাতে আমাদের ১৬টি বাস এই স্ট্যান্ডে থাকে। বেশকিছু অটোও থাকে। আলো না থাকায় খুবই সমস্যা হচ্ছে। রাতের অন্ধকারে গাড়িগুলি রেখে গেলে চুরির ভয় থাকে।বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা বাবলু ঘোষ বলেন, এখানে ওই আলোটি জ্বললে বাইরের উটকো লোকজনের আড্ডাও কমবে। এমনকী, এলাকার পরিবেশ ভালো থাকবে। নবদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তাপস ঘোষ বলেন, জেলা পরিষদ থেকে বাসস্ট্যান্ডে হাইমাস্ট আলোটি লাগিয়ে দিয়েছিল। সেটি সারানোর ব্যাপারে ওদের বহুবার জানিয়েছি। কিন্তু, জেলা পরিষদ থেকে আলোটি সারানোর বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত কোনও উদ্যোগ না নেওয়ায় আমরা আগামী অর্থবর্ষে পঞ্চায়েত সমিতি থেকে এই আলোটি সারানোর ব্যবস্থা করছি। এখন টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। নবদ্বীপ স্বরূপগঞ্জ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কানাই দাস বলেন, এবারের অ্যাকশন প্ল্যানে এই আলো সারানোর বিষয়টি ধরা আছে। আশা করছি, জুন-জুলাই মাসের মধ্যে সারানো হয়ে যাবে। পঞ্চম ও পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দকৃত টাকা