• ঘুমন্ত মাছ বিক্রেতাকে খুনের পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ
    বর্তমান | ০৩ জুন ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বারুইপুর: বাসন্তীর পর জয়নগরের বকুলতলা। নৃশংসভাবে খুনের আরও একটি ঘটনা ঘটল সোমবার। বাসন্তীতে বউদির কাটা মুণ্ড হাতে নিয়ে হেঁটে গিয়ে পুলিসের কাছে আত্মসমর্পণের ভয়াবহতা নিয়ে এখনও চর্চা চলছে। তার মধ্যেই এদিন দুপুরে ঘুমন্ত অবস্থায় এক মাছ বিক্রেতাকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল তারই প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পর অভিযুক্ত নিজেই বকুলতলা থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে। জয়নগর ২ নং ব্লকের ফুটিগোদা অঞ্চলের দোসরা ভগবানপুরের বড়পাড়ার এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম রাজকুমার হালদার। বলরাম অধিকারী নামে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে তারা। বাবাকে সাহায্য করার অভিযোগে আটক করা হয়েছে তার ছেলেকেও। তবে খুনের কারণ নিয়ে উঠে এসেছে নানা তথ্য। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, রবিবার কলাগাছ কাটা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে ব্যাপক ঝামেলা হয়েছিল। তার জেরেই এই খুন। পরিবারের লোকজন আবার অন্য কথা বলছেন। কেউ কেউ বলছেন, দুই পরিবারের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিবাদ থেকেই এই বিরোধের সূত্রপাত।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাছ বিক্রেতা রাজকুমারবাবু এদিন সকালে নিমপীঠে মাছ বিক্রি করে দুপুরে বাড়ি ফেরেন। এরপর খাওয়াদাওয়া করে বাড়ির কাছে একটি মন্দিরের চাতালে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। অভিযোগ, তখনই ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁর উপর চড়াও হয় বলরাম। এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। রাজকুমারের আর্তনাদে ছুটে আসেন পাড়ার লোকজন। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে স্থানীয়রা নিমপীঠ শ্রীরামকৃষ্ণ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য রওনা হন। কিন্তু পথেই তাঁর মৃত্যু হয়।

    সূত্রের খবর, বলরামের সঙ্গে বহুদিন ধরেই রাজকুমারের দ্বন্দ্ব চলছিল। জমি সংক্রান্ত বিবাদ থেকে শুরু করে নানা তুচ্ছ কারণেও দুই পরিবারের মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত। তবে খুনের পিছনে নির্দিষ্ট কোনও কারণ আছে কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিস। এলাকায় যাতে কোনও অশান্তি না ছড়ায়, তার জন্য বসানো হয়েছে পুলিস পিকেট। মন্দিরের সামনের অংশ ঘিরে রাখা হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তে 

    পাঠিয়েছে পুলিস। 
  • Link to this news (বর্তমান)