মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারকে ঘিরে বিজেপির কুৎসার জবাবে আইনি পদক্ষেপের দাবি জানালেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের ছেলেবেলার ছবিকে হাতিয়ার করে মুখ্য়মন্ত্রীর বিরুদ্ধে লাগাতার কুৎসা। তার জবাব দিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। সামাজিক মাধ্যমে কুণালের দাবি, বিজেপি এবং বিরোধীদের একাংশ এই কুৎসা ছড়াচ্ছে। তিনি শীঘ্রই এই কুরুচিকর প্রচার বন্ধের দাবি জানিয়ে বলেন, এই কুৎসাকারীদের বিরুদ্ধে তিনি আইনগত পদক্ষেপ করবেন।
বিশেষ একটি বইয়ের উপর ভিত্তি করে কুৎসা করা হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন কুণাল। এবিষয়ে ওই বইয়ের লেখকের ব্যক্তিগত ‘কীর্তি’ও ফাঁস করেছেন তিনি। তৃণমূল নেতার দাবি, যাঁর লেখা একটি বইকে ব্যবহার করে এত অপপ্রচার, জেনে রাখুন, সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধেই বধূনির্যাতনের অভিযোগ ছিল। তাঁর পুত্রবধূ অভিনেত্রী শম্পা ঘোষ এই অভিযোগ করেছিলেন, যিনি শত্রুঘ্ন সিনহার ‘অন্তর্জলী যাত্রা’ ছবির নায়িকা। এই অভিযোগ এবং আরও কিছু অভিযোগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই ব্যক্তিকে দল থেকে বহিষ্কার করেন। ওই লেখক তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মুছে ফেলতে তৎকালীন শাসকদল সিপিএমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছিলেন বলেও উল্লেখ করেন কুণাল। তিনি বলেন, ‘সিপিএমের গুডবুকে’ থাকতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে কুৎসা করা লেখক ওই বই লিখেছিলেন।
প্রসঙ্গত সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে পুরোনো দিনের একটি সাদাকালো ছবি ভাইরাল হয়েছে। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, এক দম্পতির সঙ্গে রয়েছে এক শিশু। শিশুটি হলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। কিন্তু বাকি দুই জনের পরিচয় নিয়ে নানারকম কুৎসা ছড়ানো হচ্ছে। তার জবাবে রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বিষয়টি নেটিজেনদের ভুল ভাঙান। সমাজ মাধ্যমে তিনি লেখেন, ‘জেনে রাখুন: ছবিতে পুত্র অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’
এরপরই কুণাল অভিযোগ করেন, এই ছবির অপপ্রয়োগ করে একাংশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জড়িয়ে বিকৃত ও ইঙ্গিতপূর্ণ কুৎসা রটাচ্ছে। আর এদের ‘স্পনসর’ করছে বিজেপি এবং বিরোধীদের একাংশ। ছবির অপব্যবহার রোধে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থারও দাবি জানিয়েছেন কুণাল।
এরপরই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াইয়ের কাহিনী তুলে ধরে কুৎসাকারীদের এক হাত নিয়েছেন কুণাল। তিনি লিখেছেন, ‘শৈশব থেকে পরিবারে তাঁর লড়াকু জীবন, ভাইবোনেদের নিয়ে অভিভাবকের ভূমিকা পালন, রাজনীতিতে কত সংগ্রাম করে এগিয়ে চলা, বাংলা তথা ভারতের মানুষ জানেন, গোটা বিশ্বের বাঙালি, প্রবাসী ভারতীয়রা মমতাদিকে ভালোবাসেন, সম্মান করেন।’