দু'দুবার পুলিশের তলব পেয়েও হাজিরা দেননি অনুব্রত মণ্ডল। পুলিশকে জানানো হয়েছে তিনি অসুস্থ। ডাক্তারের মেডিক্যাল সার্টিফিকেট জমাও করা হয়েছে বোলপুরের SDPO অফিসে। এবার অসুস্থতা নিয়ে মুখ খুললেন খোদ কেষ্টা। সংবাদমাধ্যমে জানালেন, তিন দিন টাকা মিছিল করেছেন। ঘামে ভিজে সর্দি লেগে গিয়েছে। কাশি হচ্ছে তাঁর, রয়েছে গলা ব্যাথাও। তাই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে কোভিড টেস্ট করানোর চিন্তাভাবনা করছেন অনুব্রত। তবে সব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে তাঁকে দেওয়া ডাক্তারের সার্টিফিকেট নিয়ে বিতর্ক।
কী বলেছেন অনুব্রত মণ্ডল?
কেষ্ট উবাচ, 'তিন দিন ধরে মহা মিছিল হয়েছে। ভীষণ ঘাম হয়েছিল। ঘামে ভিজে গিয়েছিলাম। তারপর থেকেই শরীর খারাপ শুরু হয়। প্রচণ্ড ঠান্ডা লেগেছে। কাশি হচ্ছে, গলা ব্যথা রয়েছে। শ্বাসকষ্টও হচ্ছে। নাক দিয়ে জল গড়াচ্ছে। অনেকটা কফ বেরিয়েছে। ডাক্তার ওষুধ দিয়েছেন। ভাবছি কোভিড টেস্ট করিয়ে নেব।'
মেডিক্যাল সার্টিফিকেট নিয়ে কেন বিতর্ক?
পুলিশ সূত্রে খবর, অনুব্রতের যে মেডিক্যাল রিপোর্ট তদন্তকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, সেটি শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজের। ওই মেডিক্যাল রিপোর্টে সই রয়েছে হিটলার চৌধুরী নামে জনৈক চিকিৎসকের। ঘটনাচক্রে, রামপুরহাট ১-এর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের (BMOH) নামও হিটলার চৌধুরী। প্রশ্ন উঠছে, BMOH পদে থাকা সত্ত্বেও তিনি কী ভাবে একটি বেসরকারি হাসপাতালে রোগী দেখছেন এবং মেডিক্যাল রিপোর্টও তৈরি করে দিচ্ছেন? আবার শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজের কর্ণধার মলয় পিট অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। BMOH অবশ্য সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ওই রেজিস্ট্রেশন নম্বর তাঁর নয়। এদিকে, অনুব্রত মণ্ডলও এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
গত বৃহস্পতিবার রাতে অনুব্রতের অডিও ক্লিপ ভাইরাল হওয়ার পর থেকে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বীরভূমের TMC নেতা গগন সরকার দাবি করেছেন, ওই কণ্ঠস্বর অনুব্রতর নয়। AI দিয়ে করানো হয়েছে। এতে BJP-র ষড়যন্ত্র থাকতে পারে অথবা দলেরও একাংশের হাত থাকতে পারে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন ওই নেতা।