• উত্তরে চলবে বৃষ্টি, দক্ষিণবঙ্গে ভ্যাপসা গরম থেকে মুক্তি কবে?
    আজ তক | ০৩ জুন ২০২৫
  • কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ক্রমেই বাড়ছে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। চলতি সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা কবে আসবে তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সুস্পষ্ট পূর্বাভাস নেই। তবে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি চলছে। এই আবহে চলতি সপ্তাহে কেমন থাকতে চলেছে বাংলার প্রতিটি জেলার আবহাওয়া? চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই আপডেট।

    দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া
    নিম্নচাপ সরতেই নাজেহাল দক্ষিণবঙ্গবাসী। কয়েকদিন আগে বৃষ্টি ভেজা দক্ষিণবঙ্গে এখন আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তিকর ভ্যাপসা গরম। ইতিমধ্যে পারদ চড়া শুরু করেছে। অন্তত চার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ও সর্বনিম্ন দুই তাপমাত্রাই পরিবর্তন হবে ৷ বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণও বেশি রয়েছে। গরম ও জলীয়বাষ্পের কারণে আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি কষ্টদায়ক হতে পারে। দফায় দফায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বিক্ষিপ্তভাবে হলেও তা অস্বস্তিকর গরমে রাশ টানার পক্ষে যথেষ্ট নয়।  মঙ্গলবার থেকে অন্তত ৫ দিনের জন্য  দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই চূড়ান্ত অস্বস্তিকর ঘর্মাক্ত গরম। আগামী কয়েকদিন আবহাওয়া এমনই অস্বস্তিকর থাকবে বলে সতর্ক করেছে হাওয়া অফিস। প্রয়োজন না থাকলে দুপুরের দিকে বাইরে বেরনো এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

    উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি
    টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ এবং সিকিম। বঙ্গের উত্তরে সরকারি ভাবে বর্ষা ঢুকেছে গত সপ্তাহেই।  আজ মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলা দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টি হতে পারে। উত্তরবঙ্গের অন্য জেলাগুলিতেও কমবেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও ৩০-৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়াও বইতে পারে। বুধবার উত্তরবঙ্গের সব জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ এবং ঝোড়ো হাওয়ার সতর্কতা রয়েছে। ঝড়বৃষ্টির জেরে উত্তরবঙ্গের নিচু এলাকাগুলিতে সাময়িক ভাবে জল জমার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি দার্জিলিং এবং কালিম্পঙের পার্বত্য অঞ্চলে ধস নামারও আশঙ্কা রয়েছে। বাতাস অনুকূল পরিস্থিতিতে থাকায় প্রচুর পরিমাণে জলীয়বাষ্পও ঢুকছে ৷ এর ফলে আগামী তিনদিন প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গে।

    হাওয়া অফিস যা জানাচ্ছে
    আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত জানিয়েছেন, পূর্ব বিহার এবং আশপাশের অ়ঞ্চলে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে দেড় কিলোমিটার উপরে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। এ ছাড়া পূর্ব উত্তরপ্রদেশ থেকে উত্তরপূর্ব অসম পর্যন্ত একটি অক্ষরেখা রয়েছে। এটি মধ্যে বিহার, উত্তরবঙ্গ এবং সিকিমের উপর দিয়ে গিয়েছে। এই অক্ষরেখাটিও সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ০.৯ কিলোমিটার উপরে রয়েছে। তার সঙ্গে ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি শুষ্ক পশ্চিমাবায়ুও আসছে। এগুলির জন্য উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি এবং দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে দিনে আবহাওয়া শুষ্ক এবং রাতে আর্দ্র থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

    দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা কবে?
    বর্ষা থমকে উত্তরে। অনুকূল পরিস্থিতিতে ২৯ মে উত্তরবঙ্গে বর্ষা ঢুকেছিল। কিন্তু তারপর থেকে আজ ২ জুন পর্যন্ত দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর দক্ষিণাংশ একই জায়গায় রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে সরকারি ভাবে বর্ষা কবে ঢুকবে, তা এখনই জানাতে পারেনি হাওয়া অফিস। গত বছরও সময়ের আগে উত্তরবঙ্গে বর্ষা ঢুকলেও দক্ষিণবঙ্গে নির্দিষ্ট সময়ের পরে ঢুকেছিল।

    কলকাতার আবহাওয়া
    হাওয়া অফিস বলছে,কলকাতায় আংশিক মেঘলা আকাশ থাকার সম্ভাবনা। কিন্তু খুব উল্লেখ্যযোগ্য বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। যার অর্থ কলকাতায় ঘামের পরিমান বাড়বে। ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তিতে হাঁসফাঁস অবস্থা হবে শহরবাসীর। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি বদলের সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। যেহেতু আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শহরে তাপমাত্রা এবং অস্বস্তি বেশি থাকবে, তাই মানুষজনকে বেশিক্ষণ বাইরে না থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। 
  • Link to this news (আজ তক)