জাতপাতের সমীকরণ বজায় রেখেই পশ্চিমবঙ্গের প্রদেশ কংগ্রেসের বিভিন্ন কমিটি গঠন হোক, এমনই চাইছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে যত দ্রুত সম্ভব পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি, রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটি এবং নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন কমিটি চূড়ান্ত করে ফেলতে চাইছেন কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। কংগ্রেস সূত্রের খবর, গত তিন-চার দিনে দিল্লিতে কংগ্রেসের সাংগঠনিক সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল, এআইসিসি-তে পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত গুলাম আহমেদ মির, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকারের মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে।
শুভঙ্কর গত বছরের সেপ্টেম্বরে নতুন প্রদেশ সভাপতি হয়েছেন। ন’মাস কেটে গেলেও প্রদেশ কংগ্রেসের কোনও কমিটি গঠন হয়নি। বিধানসভা নির্বাচনের আর দশ মাসও দেরি নেই। এত দেরি কেন হচ্ছে, তা নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের অন্দরে প্রশ্ন উঠেছে। আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে অসমের বিধানসভা নির্বাচন। অসমে ইতিমধ্যেই প্রচার কমিটি, সমন্বয় কমিটি, ইস্তাহার কমিটির চেয়ারম্যান ঠিক হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, দু’বছর আগে রায়পুরের প্লেনারি অধিবেশনেই ঠিক হয়েছিল, কংগ্রেসের সমস্ত কমিটিতে তফসিলি জাতি, জনজাতি, ওবিসি, মহিলা, সংখ্যালঘুদের জন্য ৫০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। কমিটিতে ৫০ শতাংশ সদস্যের বয়স ৫০ বছরের কম হতে হবে। পশ্চিমবঙ্গে এই নীতি মেনেই কমিটি গঠনে জোর দিচ্ছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য, জেলা স্তরের কমিটি গঠন হলে তাঁদের মতামত ভবিষ্যতে নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ে প্রাধান্য পাবে।
মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানায় প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি গঠনের পরে রাহুল গান্ধী মঙ্গলবার ভোপালে সাংগঠনিক কমিটি গঠন করবেন। বুধবার চণ্ডীগড়ে হরিয়ানার কমিটিগুলির সঙ্গে তাঁর বৈঠক। বৃহস্পতিবার তাঁর ভোটমুখী বিহারে কর্মসূচি। এর পরে গুজরাত ও রাজস্থান সফর। কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য, ‘সংগঠন সৃজন অভিযান’-এর অঙ্গ হিসেবে জেলা স্তরের কমিটির সঙ্গে বৈঠক করছেন রাহুল।