• গোরুমারায় হাই অ্যালার্ট, কুনকির নজরদারি, ওড়ানো হচ্ছে ড্রোনও... কী হলো হঠাৎ?
    এই সময় | ০৩ জুন ২০২৫
  • কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানে চোরা শিকারির মৃত্যুর পর আরও জোরদার নজরদারি। এই ঘটনার পর উত্তরের বনাঞ্চলগুলির পাশাপাশি গোরুমারা জঙ্গলেও জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট।

    গত ২৮ মে কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানে এক চোরা শিকারির মৃত্যু হয়। তাঁর কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেন বনকর্মীরা। কাজিরাঙাতে গন্ডার মারতেই ওই চোরা শিকারির হানা দিয়েছিল বলেও জানতে পারেন তদন্তকারীরা। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনার পর আরও আঁটসাঁট করা হয়েছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন বনাঞ্চলের নিরাপত্তা।

    দিনরাত কুনকি হাতি দিয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে। জঙ্গলের ভিতরের পাশাপাশি বাইরেও নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। ওড়ানো হচ্ছে ড্রোনও। গত কয়েক দিন ধরে গোরুমারা জঙ্গল সংলগ্ন রামসাই-ও পাশ্ববর্তী এলাকা জুড়ে চলে রুটমার্চ। রামসাই এলাকার বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকাগুলি ঘুরে দেখে পুলিশ ও বনদপ্তর।

    এর আগে গোরুমারার গন্ডার শিকারের সময় সেখানকার শেষ প্রান্তের জিরো বাঁধ ব্যবহার করেছিল চোরা শিকারির দল। এর পরই জিরো বাঁধ-সহ পাশ্ববর্তী এলাকায় বন দপ্তরের নজরদারি বাড়ানো হয়। একই সঙ্গে রামসাইতেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়।

    নদীপথ ও ঘাসবনের পথ ধরেই মূলত জঙ্গলে প্রবেশ করেন চোরা শিকারিরা। তাই নদীপথেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, শিকারের উদ্দেশে বাইরে থেকে আসা চোরা শিকারিরা অনেক সময় স্থানীয়দেরও সহযোগিতা নেন। তাই স্থানীয় বাসিন্দাদের এ নিয়ে সচেতন করা হয়েছে। গোরুমারার অরল্যান্ডো (বনদপ্তরের প্রশিক্ষিত কুকুর) নিয়ে বেশ কিছু জায়গা ঘুরে দেখেন বনকর্মীরা।

    গোরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগের এডিএফও রাজীব দে জানান, কাজিরাঙার ঘটনার পর গোরুমারার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। জঙ্গলের বাইরেও চলছে টহল। পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ে বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় এরিয়া ডমিনেশনও করা হচ্ছে। জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার খান্ডবাহালে উমেশ গণপত জানান, বনদপ্তরের সঙ্গে পুলিশও যৌথ টহল দিচ্ছে।

    রিপোর্ট: অর্ঘ্য বিশ্বাস

  • Link to this news (এই সময়)