পুকুরে কুমির। পাথরপ্রতিমার পর এ বার কুলতলিতে কুমিরের আতঙ্ক। সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয় বাসিন্দা দিলীপ দলুই দেখেন এক চারপেয়ে জন্তু তাঁর পুকুরের দিকে এগোচ্ছে। প্রথমে ঠিক মতো বুঝতে না পারলেও কাছে যেতেই তিনি বুঝতে পারেন ওটা কুমির। তিনি আতঙ্কিত হয়ে চিৎকার শুরু করলে এলাকার লোকজন সেখানে ছুটে যান। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় বনদপ্তরে।
জানা গিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দারাই রাতেই পুকুরের জল কমানোর জন্য একটি মেশিন বসান। এমনকী কুমিরটিকে আটকে রাখার জন্য নাইলনের জাল পেতে দেওয়া হয় পুকুরের চারদিকে। মঙ্গলবার সকাল হতেই বন দপ্তরের কর্মীরা এসে ওই কুমিরকে জল থেকে তোলেন। কুমির লম্বায় সাড়ে পাঁচ ফুট। বনদপ্তর সূত্রে খবর, কুমিরের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে।
তবে আপাতত স্থানীয় বাসিন্দারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেও এলাকায় সতর্কতা জারি করেছে বনদপ্তর। পুকুর বা জলাশয়ের কাছে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
দিলীপ দলুই বলেন, ‘পুকুরে কুমির দেখব, কল্পনাও করিনি। বন দপ্তরের কাছে কৃতজ্ঞ। তারা দ্রুত কুমিরকে ধরতে পেরেছে।’
বন দপ্তরের আধিকারিক আবু জাফর মোল্লা বলেন, ‘বর্ষার সময় নদী বা খালের জল বেড়ে যাওয়ায় মাঝে মধ্যে কুমির বসতি এলাকায় চলে আসে। কুলতলির ঘটনাও তেমনই। তবে স্থানীয়দের সাহস ও সতর্কতায় বড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে।’