• অনুব্রতর পাশে দাঁড়িয়ে আইসিকে চমকানো, সেই ছাত্রনেতাকে এ বার তলব পুলিশের
    এই সময় | ০৩ জুন ২০২৫
  • বীরভূমের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি বিক্রমজিৎ সাউকে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করেছে দল। বোলপুরের আইসিকে নিয়ে পোস্ট করার জন্য এ বার তাঁকে নোটিস ধরাল পুলিশ। সূত্রের খবর, সিউড়ি থানা থেকে নোটিস পাঠানো হয়েছে বিক্রমজিৎকে। বুধবারই থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।

    সম্প্রতি বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে কদর্য ভাষায় আক্রমণ করেন বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এর পরই ‘কেষ্টদা’কে সমর্থন করে ফেসবুকে পোস্ট করেন বিক্রমজিৎ। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘লিটন হালদার নাম নিয়ে বলছি, তোমার দম থাকলে, অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে, বীরভূম জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নামে FIR করে দেখিও। তুমি জানো, তুমি দুর্নীতিপরায়ণ। সমস্ত তথ্যপ্রমাণ আছে। তুমি যদি ভাবো ডালে ডালে চলবে, তোমাদের শিরায় উপশিরায় আমরা চলি।’

    ‘বীর বিক্রমে’ বিক্রমজিৎ চ্যালেঞ্জও করেন আইসি লিটন হালদারকে, ‘তুমি একটা আইসি, সরকারি কর্মচারী, পারলে আমার নামে কেস করো। তুমি যে অন্যায় করেছ, তার শাস্তি তোমাকে বীরভূমেই পেতে হবে।’

    একে অনুব্রত কাঁটা, তার উপর আবার এই ছাত্রনেতার ধমক-চমক। চরম বিড়ম্বনার মুখে পড়ে রাতারাতি বিক্রমজিৎকে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেন রাজ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রেসিডেন্ট তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ তোলা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। এ বার সেই বিক্রমজিৎকে থানায় তলব।

    ছেলের এ হেন আচরণে বিরক্তি প্রকাশ করেন বাবা বিদ্যাসাগর সাউ। তিনি সিউড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানও। বিদ্যাসাগর সাউ বলেন, ‘আমি বাবা হিসেবে ব্যর্থ। আমার লজ্জা, ছেলেকে আমি শালীনতা শেখাতে পারিনি। আমি ওই অফিসারের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।’ তবে ছেলেকে পুলিশি তলবের কোনও নোটিস এখনও হাতে পাননি বলেও জানান তিনি।

  • Link to this news (এই সময়)