• পাক চরদের কাছে টাকা? জিজ্ঞাসাবাদ ব্যবসায়ীকে, তদন্তে NIA
    এই সময় | ০৩ জুন ২০২৫
  • এই সময়: চরবৃত্তির জন্য ধৃত সিআরপিএফ জওয়ান মোতিরাম জাটের কাছে কি কলকাতা থেকে ঘুর পথে টাকা গিয়েছিল? এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে সোমবার মোমিনপুরের একটি ট্যুর অ্যান্ড ট্র্যাভেলসের মালিক মাসুদ আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)।

    এ দিন খিদিরপুরের ব্যবসায়ী মহম্মদ ইজাজকে তলব করা হলেও হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি। আজ, মঙ্গলবার দু’জন ফের নিউ টাউনের এনআইএ অফিসে হাজিরা দিতে পারেন বলে সূত্রের খবর।

    এরা ছাড়াও তপসিয়ার একটি হোটেলের কর্মী মহম্মদ ওয়াকিলকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এনআইএ। দিল্লির এজেন্সির মাধ্যমে তপসিয়ার ওই হোটেলে কাজ পেয়েছিলেন তিনি।

    গত শনিবার পশ্চিমবঙ্গ-সহ ৮ রাজ্যে পাকিস্তানের চরদের খোঁজে অভিযান চালায় এনআইএর–এক বিশেষ দল। কলকাতায় মোমিনপুর, আলিপুর, পার্ক সার্কাস, তপসিয়া–সহ বিভিন্ন ঠিকানায় হানা দেন কেন্দ্রীয় অফিসারেরা। মোমিনপুরের ওই ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলসের অফিসেও অভিযান চালানো হয়।

    অভিযোগ, ওই এজেন্সির মাধ্যমে ২০২৪ এবং ২০২৫ সালে বেশ কয়েকবার একাধিক অ্যাকাউন্টে লেনদেন হয়েছে। এমনকী, ওই লেনদেনের সঙ্গে যোগসূত্র মিলেছে ধৃত সিআরপিএফ জওয়ান মোতিরাম জাটেরও। তাঁর কাছেও টাকা গিয়েছে বলে অভিযোগ।

    এ বিষয়ে এজেন্সির মালিক মাসুদ আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ওই দিন। কিন্তু তাঁর জবাবে সন্তুষ্ট হতে পারেননি তদন্তকারী অফিসারেরা। জানা যায়, ট্রাভেল এজেন্সির মালিক মাসুদ থার্ড পার্টি অ্যাপের মাধ্যমে টাকা ট্রান্সফার করে থাকেন।

    তিনি দাবি করেছেন, বহু লোকজন টাকা ট্রান্সফারের জন্য আসেন। ক্যাশ নিয়েও হাজির হন। যে অ্যাকাউন্ট বা মোবাইল নম্বরে টাকা পাঠাতে বলা হয়, সার্ভিস চার্জ নিয়ে সেই টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

    যদিও বিষয়টি এতটা হালকা ভাবে নিচ্ছেন না কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তাঁরা মনে করছেন, পরিকল্পনা মাফিক ওই সিআরপিএফ জওয়ান ছাড়া আরও কয়েকজনের কাছে টাকা পাঠানো হয়েছে।

    এ বিষয়ে আরও তথ্য পেতে এ দিন মাসুদ আলমকে তলব করা হলে তিনি নিউ টাউনে এনআইএ অফিসে নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছে যান। কয়েক ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদের পরে তিনি ফিরে যান। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ফের তাঁকে তলব করা হয়েছে।

  • Link to this news (এই সময়)