• মাথায় ঋণের বোঝা, মেয়ের সামনেই চড় মারে পাওনাদার! অপমানে আত্মঘাতী আউশগ্রাম বিদ্যালয়ের কর্মী...
    ২৪ ঘন্টা | ০৩ জুন ২০২৫
  • পার্থ চৌধুরী: ঋণের চাপে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন এক ব্যক্তি। মৃত্যুর আগে একটি চিঠি লিখে রেখে গিয়েছেন তিনি। এই নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে। জানা গেছে, মৃতের নাম পার্থসারথি বারিক (৪৪)। আউশগ্রামেই তাঁর বাড়ি। তিনি আউশগ্রাম বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী ছিলেন।

    আউশগ্রাম  উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফকির মণ্ডল জানান, 'মৃত পার্থ বাবু একজন সজ্জন ব্যক্তি ছিলেন। কাজে দক্ষ ছিলেন। আমরা শুনেছিলাম বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে তাঁর প্রচুর ধার আছে। কিন্তু তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলেও তিনি কোনো কিছু শেয়ার করেননি। গতকাল আমরা স্কুলে কিছু বুঝতে পারিনি। তবে কাল খুব চঞ্চল ছিলেন'। 

    মৃতের স্ত্রী অপরূপা বারিক জানান, 'এই গ্রামে তার তিনজন পাওনাদার ছিলেন। তারা দেনা আদায়ের জন্য ওঁকে চাপ দিত। গতকাল একজন পাওনাদার এসে তাঁকে মেয়ের সামনে চড় মারেন। এতেই কার্যত মনে আঘাত পান ওই  কর্মী। তিনি আউশগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে ল্যাবরেটরিতে কাজ করতেন। গতকাল স্বাভাবিকই ছিলেন তিনি। তাই কেউ কিছু বুঝতে পারেননি'।

    মৃতের স্ত্রী জানিয়েছেন, ওই তিনজন পাওনাদার হলেন সিএসপি ব্যাংক কর্মী পাওনাদার স্বপন সেন। গ্রামের বাসিন্দা পাওনাদার সীমন্ত গোপ। স্ত্রীর অভিযোগ, আর এক পাওনাদার স্কুলেরই শিক্ষক সন্ন্যাসী রুইদাস তাঁকে ফোনে নানা কথা বলতেন, অশালীন মেসেজ করতেন। অভিযোগ, তিনি চড়া হারে সুদ দিলেও পাওনাদাররা মাঝেমাঝে এসে হুমকি দিত। 

    জানা গেছে, যাদের নামে অভিযোগ তাদের একজন স্বপন সেনের কাছে একটি গাড়ি বন্ধক দিয়ে তিন লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন দু'বছর আগে। তিনিই কাল বাড়িতে এসে মারধর করেছিলেন বলে অভিযোগ। যদিও, স্বপন সেন জানান, তিনি সুদ নিতেন না। গাড়িও বন্ধক রাখেননি। বারবার টাকা চেয়েও না পেয়ে কাল চাইতে গিয়েছিলেন। তবে মারধর করেননি। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিস তদন্ত শুরু করেছে।

     

     

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)