জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ফের নিয়োগ জট? SSC-র নতুন বিধিকে চ্যালেঞ্জ করে এবার মামলা দায়ের করা হল কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাকারীর দাবি, SSC-র নতুন বিধি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরিপন্থী। আগামী ৫ জুন মামলার শুনানি বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের বেঞ্চে।
আইনজীবীদের বক্তব্য, 'সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্টের যে পর্যবেক্ষণ ছিল যে, ২০১৬ সালের যে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল হয়ে গেল, সেই নিয়োগ নতুনভাবে করার জন্য। যে শূন্যপদ ছিল, সেই শূন্যপদে নিয়োগ করতে হবে। কোথাও কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট বা হাইকোর্ট বলেনি যে, নিয়োগ বিধি বদলে নতুন বিধিতে নিয়োগ করতে হবে। যাঁরা দুর্নীতিগ্রস্ত প্রার্থী, তাঁরা যে পরীক্ষায় বসতে পারবে না, সেটা পরিষ্কারভাবে বলা নেই। শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার নতুন করে বলা হয়েছে। নতুন করে আরও একটি কথা বলা হয়েছে, যাঁরা অস্থায়ীভাবে কাজ করেছেন, তাঁরা পরীক্ষায় বসতে পারবেন। তাহলে যাঁরা দুর্নীতিগ্রস্ত শিক্ষক, তাঁদের বাড়তি কি সুবিধা দেওয়া হল? ফলে এই নিয়োগ বিধি পুরোপুরি নতুন নিয়োগ বিধি। ২০১৬ সালের সাথে কোনও সম্পর্ক নেই'।
ঘটনাটি ঠিক কী? এসএসসি ২০১৬ সালের পুরো প্য়ানেলই বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে ফের নিয়োগ হবে এসএসসি-তে। পরীক্ষার দিনক্ষণ ঘোষণা হয়নি এখনও। তবে নয়া পরীক্ষাবিধি প্রকাশ করে দিয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর।
এদিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শিক্ষকরাই যে শুধু চাকরি হারিয়েছেন, তা কিন্তু নয়। রেহাই পাননি গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীরাও। যাঁরা দুর্নীতিগ্রস্ত নন, , সেইসব শিক্ষকদের যখন ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চাকরি করার অনুমতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট, তখন গ্রুপ ডি ও গ্রুপ ডি পদে চাকরিহারাদের সম্পর্কে কিছু বলেনি শীর্ষ আদালত। গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি-র পদে চাকরিহারাদের ভাতা দেওয়ার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করেও ৪ মামলা দায়ের করা হয়েছে হাইকোর্টে।
মামলাকারীদের প্রশ্ন, 'শুধুমাত্র চাকরিহারারা কেন পাবেন ভাতা? কেন ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া সমস্ত চাকরি প্রার্থীদের ভাতা দেওয়া হবে না? যাঁরা দুর্নীতি করে টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছেন তাঁদের একটা অংশকে কেন এই বাড়তি সুবিধা?' আগামী ৯ জুন মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা।