পিয়ালী মিত্র: মোবাইল চুরির অভিযোগে নৃশংস অত্যাচার কিশোরকে। কারখানার কর্মী ওই কিশোরকে পায়ে দড়ি বেঁধে ঝুলিয়ে মারধর, পরে ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়। ইসলামপুর থেকে কলকাতায় কাজ করতে এসেছিল ওই কিশোর বলে খবর। কিশোরকে অত্যাচারকারী ব্যবসায়ীর বাড়ি রবীন্দ্রনগর এলাকার ভাড়াটে। অত্যাচারের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই বেপাত্তা ওই ব্যবসায়ী।
অভিযোগ ছিল মোবাইল ফোন চুরি করেছে ওই কিশোর। সেই অভিযোগের জেরে কারখানার যে শেড তার একটি কাঠের সঙ্গে দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় ওই কিশোরকে। নীচে কিছুটা দূরে এক ব্যক্তি বসেছিলেন একটি এক্সটেনশন কর্ড নিয়ে। সেখান থেকে বিদ্যুত্ নিয়েই কিশোরকে শক দেওয়া হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় তা দেখা গিয়েছে। সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি জি ২৪ ঘণ্টা। কিশোরের বিরুদ্ধে মোবাইল চুরির অভিযোগ আনা হয়েছিল। সেই অভিযোগ প্রমাণিতও নয়।
কারাখানাটি ভাড়া নিয়েছিলেন শাহেনশাহ নামে এক তরুণ। বাড়ি উত্তরবঙ্গের ইসলামপুরে। ওই কিশোরের বাড়িও ওই এলাকায়। কারখানা মালিক শাহেনশাহই ওই অত্যাচার চালিয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনার পর থেকেই ওই কারখানায় যারা কাজ করত তাদের কোনও পাত্তা নেই।
সঞ্জু নামে এক যুবক জানালেন, প্রায় দেড় বছর আগে কারখানা ভাড়া নেওয়া হয়। আজ থেকে কারখানা বন্ধ। যে ছেলেটির উপরে অত্যাচার করা হয় তাকে চিনি। ঘটনার পর থেকেই সবাই পালিয়ে গিয়েছে। শাহেনশাহর ফোন সুইচড অফ।
ওই কিশোর বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তার শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কারখানা প্রতিবেশী এক ব্যক্তি জানান, ওই কিশোরকে তিনি যখন দেখেন তখন কার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। জিজ্ঞাসা করলে বলা হয় সে মোবাইল চুরি করেছে। রবীন্দ্রনগর থানায় এনিয়ে অভিযোগ হয়েছে। খোঁজ চলছে শাহেনশাহর।
ইসলামপুরের কিশোরের কাকার এক ছেলের বক্তব্য, যারা মেরেছে তারা পাড়ারই লোক। কাজের জন্য ওকে নিয়ে গিয়েছিল। বেশকিছু দিন হয়ে গিয়েছে। ওদের কাছ থেকে টাকা চাওয়া হয়েছিল। টাকা যাতে না দিতে হয় তার জন্য এসব করা হয়েছে। সেইজনই মোবাইল চুরির বদনাম দেওয়া হয়েছে। কাল ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়ে যায়। তার পর আমরা অভিযুক্তের বাড়ি যাই। ওদের কাউকে পাওয়া যায়নি।