• মোবাইল চুরির অপবাদ, কিশোরকে উলটো ঝুলিয়ে ইলেকট্রিক শক! পলাতক কারখানার মালিক
    প্রতিদিন | ০৩ জুন ২০২৫
  • সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: মোবাইল চুরির ‘অপবাদ’। তার জেরে এক কিশোরকে মারধর, বেঁধে উলটো করে ঝুলিয়ে ইলেকট্রিকের শক দেওয়ার অভিযোগ। মধ্যযুগীয় এই বর্বরতার ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ কলকাতার সন্তোষপুর রবীন্দ্রনগর থানা এলাকায়। ওই কিশোরের বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর এলাকায়। মাস খানেক আগে দাদার সঙ্গে সে রবীন্দ্রনগর এলাকার ওই কারখানায় কাজ করতে গিয়েছিল বলে খবর। কীভাবে এই নৃশংস অত্যাচার করা সম্ভব? সেই প্রশ্ন উঠেছে। ওই ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তারপরই এই ঘটনার কথা জানা যায়। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেন সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনা জানাজানির পর থেকেই পলাতক ওই কারখানার মালিক। তাঁর খোঁজ চলছে।

    জানা গিয়েছে, রবীন্দ্রনগর থানার মহেশতলা পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কানকুলি পূর্বপাড়ায় জিন্সের প্যান্ট রং করার কারখানা আছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, আনুমানিক প্রায় তিন বছর আগে ভাড়া নিয়ে ওই কারখানা চালাচ্ছিলেন শাহেনশা নামে এক ব্যক্তি। ইসলামপুরের ওই কিশোর দাদার সঙ্গে সেই কারখানায় কাজ করতে গিয়েছিল। নাবালক হলেও কেন তাকে কাজে নেওয়া হয়েছিল? সেই প্রশ্নও উঠেছে। এদিকে, ওই কারখানায় নারকীয় অত্যাচারের শিকার হল ওই বছর ১৪-এর কিশোর। কারখানায় একটি মোবাইল ফোন চুরি গিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ফোন ওই কিশোর চুরি করেছে বলে অপবাদ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আর তারই শাস্তিস্বরূপ কিশোরের উপর নারকীয় অত্যাচার চালানো হয়!

    কোনও একটি কাজ দিয়ে কিশোরের দাদাকে কারখানার বাইরে পাঠানো হয়েছিল। সেসময়ে ওই কিশোরকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সেখানেই খান্ত হয়নি। এরপর ওই কিশোরের হাত-পা দড়ি দিয়ে বাঁধা হয় বলে অভিযোগ। তাঁকে উলটো করে ঝুলিয়ে এরপর ইলেকট্রিকের শক দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের দাগও হয়ে গিয়েছে বলে খবর। সেই ঘটনার ভিডিও করা হয়েছিল। সেই ভিডিওই ভাইরাল হয়। ইসলামপুরে ওই কিশোরের পরিবারও ঘটনার কথা জানতে পারে। মোবাইল ফোনে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হলে সব কথা ওই কিশোর জানিয়েছে বলে খবর। রবীন্দ্রনগর থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে।

    এদিকে ঘটনা জানাজানির পরই কারখানার মালিক শাহেনশা নামক ব্যক্তি পলাতক। ওই কারখানাও বন্ধ রয়েছে বলে খবর। পুলিশ কারখানার কর্মীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছে। অভিযুক্ত মালিকের খোঁজেও চলছে তল্লাশি।
  • Link to this news (প্রতিদিন)