• আলিপুরদুয়ারে মোদির ‘কুৎসা’র পালটা প্রচারে ‘বুথ চলো’ তৃণমূলের, যেতে পারেন মমতাও
    প্রতিদিন | ০৩ জুন ২০২৫
  • রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে গত সপ্তাহে রাজ্যে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ড থেকে জোড়া সভায় তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করে একের পর এক তির ছুড়েছেন। তার বেশিরভাগটাই কুৎসা ও অপপ্রচার বলে দাবি করেছে রাজ্যের শাসকদল। এবার প্রধানমন্ত্রীর সেই ‘কুৎসা’র জবাব দিতে পালটা ‘বুথ চলো’ কর্মসূচি শুরু করছে তৃণমূল। এর জন্য পাঁচ ভাষায় লিফলেট ছাপানো হবে। তা বুথে বুথে জনগণকে বিলির কাজ করবেন দলীয় কর্মীরা। এই কর্মসূচির মাঝে জেলায় যেতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    গত ২৯ মে আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ড মাঠে জোড়া সভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সভা থেকে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। আর তারপরেই জেলায় বিজেপি-তৃণমূলের মধ্যে রাজনৈতিক পারদ চড়তে শুরু করে। তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদলেও এই জেলার সভাপতি ও চেয়ারম্যান পুনরায় দায়িত্ব পেয়েছেন। তারপর মঙ্গলবার এই প্রথম বৈঠকে বসল তৃণমূল। জেলা তৃণমূলের সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইক বলেন, “ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেডের সরকারি টাকায় প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সভা করেছেন। আমরা আরটিআই করে এই সভায় বিপিসিএল (ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড) কত টাকা খরচ করেছে, তা জানতে চাইব। এয়ারপোর্ট, হাসপাতাল কিছুই দেননি প্রধানমন্ত্রী।”

    প্রকাশ চিক বরাইক আরও জানিয়েছেন, “প্রধানমন্ত্রী আমাদের জেলায় এসে শুধু রাজনৈতিক মিথ্যাচার করে গেছেন। আমরা বুথে বুথে গিয়ে আমাদের সরকারের উন্নয়নের বার্তা পৌঁছব। জেলার জন্য সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প বাংলা, হিন্দি, সাদরি, নেপালি ও ইংরাজি ? এই পাঁচ ভাষায় ছাপানো হবে। ওই লিফলেট নিয়েই আমরা ‘বুথ চলো’ অভিযান করব। প্রধানমন্ত্রী জেলার আদিবাসী, গোর্খা, মেচ, রাভা-সহ কোনও জনজাতির জন্য কিছু ঘোষণা করেননি। জেলার মানুষ বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন।” জানা গিয়েছে, তৃণমূলের তরফে লিফলেট ছাপতে দেওয়া হয়েছে। তা হাতে এলেই শুরু হবে ‘বুথ চলো’ অভিযান। তৃণমূলের নয়া কর্মসূচি নিয়ে জেলা বিজেপি সভাপতি মিঠু দাস বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর সভায় ভিড় দেখে তৃণমূল ভয় পেয়েছে। এই ভয় আমাদের ভালো লাগছে। প্রধানমন্ত্রী ১ হাজার ১০ কোটি টাকার সিটি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন প্রকল্পের শিলান্যাস করতে এখানে এসেছিলেন। তাই বিপিসিএল সভার আয়োজন করেছে।”

    আসলে উত্তরবঙ্গে এখনও গেরুয়া প্রভাব রয়েছে ভালোই। ছাব্বিশে তৃণমূলের টার্গেট, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ির মতো জেলাগুলির একাধিক বিধানসভা আসন ঘাসফুলের দখলে আনা। সেই লক্ষ্যে এখন থেকেই নয়া পদ্ধতিতে জোরকদমে প্রচার শুরু করতে চাইছে শাসক শিবির। তারই একটি কর্মসূচি ‘বুথ চলো’। মঙ্গলবার তার ঘোষণা করলেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইক। এই সময়ের মধ্যে জেলা সফরে আসতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
  • Link to this news (প্রতিদিন)