আর এরকম যে মামলা হতে পারে, তা গত শুক্রবারই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। সেদিন এসএসসি নয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরেই আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানান যে কেন নিয়োগের ক্ষেত্রে নয়া বিধি চালু করা হচ্ছে, তা নিয়ে মামলা করা হবে। নতুন বিধির একাধিক ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। ওই সব জায়গায় পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে। সেইসঙ্গে নয়া বিধিতে তাঁদের কোনও বাড়ি সুবিধা প্রদান করা হয়নি বলে দাবি করেন ‘যোগ্য’ শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
আবার ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নবম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত যে শিক্ষক-শিক্ষিকারা ওয়েটিং লিস্টে ছিলেন, তাঁরা দাবি করেছেন, দুর্নীতির কারণেই তাঁদের টপকে অনেকে চাকরি পেয়েছিলেন। তাঁদের নাম চলে গিয়েছিল ওয়েটিং লিস্টে। সেই পরিস্থিতিতে নয়া বিধিতে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার জন্য যে ১০ নম্বর বরাদ্দ করা হয়েছে, সেটা তাঁরা পাবেন না। যা আদতে মৃত্যু পরোয়ানার শামিল বলে দাবি করেন চাকরিপ্রার্থীরা।
আবার উচ্চমাধ্যমিক স্তরের যে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক-শিক্ষিকারা আছেন, তাঁরাও নয়া বিধি নিয়ে আপত্তি তোলেন। তাঁদের বক্তব্য, কমিশনের তরফে যে নয়া নিয়োগ বিধি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রে বয়সছাড়ের কোনও কথা বলা হয়নি। আর যদি সেটা না হয়, তাহলে তাঁরা কেউই নয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন না বলে দাবি করেন উচ্চমাধ্যমিক স্তরের চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
১) লিখিত পরীক্ষার নম্বর ৬০ করা হয়েছে।
২) ইন্টারভিউয়ের জন্য বরাদ্দ ১০ নম্বর।
৩) শিক্ষাগত যোগ্যতার জন্য ১০ নম্বর থাকবে।
৪) শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার জন্য ১০ নম্বর বরাদ্দ করা হয়েছে।