শুধু কাকিমা মৌমিতা হাসানই নয়, খুনের ঘটনায় জড়িত আরও অনেকে। দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনে বাড়ির ছাদের কুঠুরি থেকে উদ্ধার মৃত যুবক সাদ্দাম নাদাবের পরিবারের দাবি অন্তত এমনটাই। মৃত সাদ্দামের স্ত্রী নাসরিনের অভিযোগ, টাকা পয়সা নিয়ে বিবাদের জেরেই খুন করা হয়েছে তাঁর স্বামীকে। এই ঘটনায় মৌমিতার পরিবারের বিরুদ্ধেও অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তিনি।
১৮ মে অফিস থেকে রাতে বাড়ি ফেরার সময়ে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান সাদ্দাম। থানায় অভিযোগ জানান তাঁর স্ত্রী নাসরিন। অভিযোগ ছিল, সাদ্দামকে অপহরণ করেছেন তাঁর কাকু রহমান নাদাব ও কাকিমা মৌমিতা হাসান। এই কাকু কাকিমার মালদা শহরের বাড়িতেই থাকতেন ওই যুবক। তাঁর ব্যবসারও পার্টনার ছিলেন কাকিমা। একই সঙ্গে সাদ্দামের উধাও হওয়ার ঘটনায় যে মৌমিতার হাত আছে তিনিই প্রথম অভিযোগ জানিয়েছিলেন পুলিশে। নিখোঁজের স্ত্রীয়ের অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার করা হয় মৌমিতাকে। জেরায় সামনে উঠে আসে নৃশংস খুনের তত্ত্ব।
এ দিন নাসরিনের অভিযোগের তির অভিযুক্ত মৌমিতার গোটা পরিবারের দিকেই। তিনি বলেন, ‘টাকা পয়সার জন্য আমার স্বামীকে মেরে ফেলল। এর মধ্যে ওর বাবা, মা, শ্বশুর, শাশুড়ি এমনকী মৌমিতার বন্ধুও জড়িয়ে আছে। ওদের সবার শাস্তি চাই।’ মৌমিতার ফাঁসির দাবি তুলেছেন নাসরিন।
একই দাবি সাদ্দাম নাদাবের ভাই মিঠু নাদাবেরও। তাঁর দাবি, ‘দেড় কোটি টাকার হিসেবের গরমিল নিয়ে ঝামেলা ছিল। এমনকী খুনের দিনও সাদ্দামের সঙ্গে ২৫ লাখ টাকা ছিল।' আফশোসের সুরে তিনি বলেন, ‘টাকার দরকার ছিল আমাদের বলতে পারত। আরও টাকা দিতাম। ভাইটাকে তো আমার বাঁচিয়ে রাখতে পারতো। টাকার লোভে মেরে দিল।'
তবে পরিবার সূত্রে খবর, কাকিমার সঙ্গে বিবাদের কথা আগে থেকেই জানিয়েছিলেন সাদ্দাম। লাগাতার হিসাবের গরমিল নিয়ে ব্যবসায় অংশীদার কাকিমার সঙ্গে সমস্যা চলছিল সাদ্দামের বলে জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী ও ভাইয়েরা। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের কারণ নিয়ে তদন্ত করছে তপন থানা ও ইংরেজবাজার থানার পুলিশ।