আজকাল ওয়েবডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগণার মহেশতলার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে রবীন্দ্রনগর থানা এলাকায় কাজ করতে গিয়ে আক্রান্ত এক কিশোর। পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে কিশোরকে উল্টো করে ঝুলিয়ে বেধড়ক মারধর করার পাশাপাশি তাকে দেওয়া হয় ইলেকট্রিক শক। আক্রান্ত ওই কিশোরের বাড়ি ইসলামপুর থানা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, রবীন্দ্রনগর থানার মহেশতলা পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কানকুলি পূর্বপাড়ায় জিন্সের প্যান্ট রং করার একটি কারখানা আছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, আনুমানিক প্রায় তিন বছর আগে ভাড়া নিয়ে ওই কারখানা চালাচ্ছিল শাহেনশা নামে এক ব্যক্তি। ইসলামপুরের বাসিন্দা ওই কিশোর দাদার সঙ্গে সেই কারখানায় কাজ করতে গিয়েছিল। নাবালক হলেও কেন তাকে কাজে নেওয়া হয়েছিল সেই প্রশ্নও উঠেছে।
সম্প্রতি কারখানায় একটি মোবাইল ফোন চুরি গিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ফোন ওই কিশোর চুরি করেছে বলে কারখানার মালিক তাকে চেপে ধরে। চুরির শাস্তি হিসেবে কিশোরের উপর নারকীয় অত্যাচার চালানো হয় বলে অভিযোগ!কোনও একটি কাজ দিয়ে কিশোরের দাদাকে কারখানার বাইরে পাঠিয়ে ওই কিশোরকে বেধরক মারধর করার সঙ্গে অভিযোগ ওই কিশোরের হাত-পা দড়ি দিয়ে বেঁধে তাকে উল্টো করে ঝুলিয়ে ইলেকট্রিকের শক দেওয়া হয়। শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের দাগও হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেই ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি আজকাল.ইন।
ইসলামপুরে ওই কিশোরের পরিবারও ঘটনার কথা জানতে পারে। মোবাইল ফোনে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ হলে সব কথা ওই কিশোর জানিয়েছে বলে খবর। রবীন্দ্রনগর থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। এদিকে ঘটনা জানাজানির পরই কারখানার মালিক শাহেনশা পলাতক। ওই কারখানাও বন্ধ রয়েছে বলে খবর। পুলিশ কারখানার কর্মীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছে। অভিযুক্ত মালিকের খোঁজেও চলছে তল্লাশি।