নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: চম্পাসারি জুনিয়র বেসিক স্কুলের সামনের মাঠে শুরু হয়েছে মিলন মেলা-২০২৫। কোনওরকম সরকারি অনুমোদন না নিয়ে স্কুলের মাঠ দখল করে এই মেলা চলানোর অভিযোগ উঠেছে। গরমের ছুটি শেষ হয়ে যাওয়ার পর সোমবার স্কুল খুলেছে। স্কুলে ঢোকার রাস্তার একাংশ আটকে বসানো হয়েছে স্টল। এতে পড়ুয়াদের ক্লাসরুমে যেতে অসুবিধা হচ্ছে। যা নিয়ে সরব হয়েছেন স্থানীয়দের একাংশ। যদিও মেলার সম্পর্কে তাঁর কিছুই জানা নেই বলে দাবি করছেন চম্পাসারি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জনক সাহা। পঞ্চায়েত অফিসে মেলা নিয়ে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি, দাবি তাঁর। প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে কীভাবে মেলা চলছে স্কুলের মাঠে। তাহলে এর পিছনে কাদের মদত রয়েছে, সেব্যাপারেও প্রশ্ন উঠেছে। শুধুমাত্র পঞ্চায়েতের প্রধানই নন, এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদেরও কিছু জানা নেই। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়তেই বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন মেলার ম্যানেজার।
শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান দিলীপ রায় বলেন, মেলা হচ্ছে এটা এদিনই শুনলাম। এভাবে স্কুলে ঢোকার পথ আটকে মেলা করা যাবে না। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ স্কুলকে দিয়েছি।
চম্পাসারি গ্রাম পঞ্চায়েতের দেবীডাঙা বাজারের কাছে একই প্রাঙ্গণে আমিয় পাল চৌধুরী স্মৃতি বিদ্যালয় এবং চম্পাসারি জুনিয়র বেসিক স্কুল। দুই স্কুলের জন্য বিশাল খেলার মাঠ। অভিযোগ, জুনিয়র বেসিক স্কুলের সামনের পুরো অংশ ঘিরে ১ মে থেকে শুরু হয়েছে মিলন মেলা। মাঠ খুঁড়ে বসানো হয়েছে অসংখ্য ছোট বড় স্টল, নাগরদোলা সহ রাইড। স্থানীয়দের অভিযোগ, মেলার আড়ালে জুয়ার আসরও বসছে।
গ্রীষ্মের ছুটির পর ২ মে থেকে স্কুল খুলেছে। তবে স্কুলের মাঠে মেলা বসায় অনেক অভিভাবকই মঙ্গলবার স্কুল খোলার দ্বিতীয় দিন সন্তানদের পাঠাননি। এ বিষয়ে অমিয় পাল চৌধুরী স্মৃতি বিদ্যালয়ের টিআইসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমাদের কাছে স্থানীয়দের কয়েকজন মেলার জন্য অনুমতি চেয়েছিল। আমরা দেইনি। তবে জুনিয়র বেসিক স্কুল থেকে কোনও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে কি না জানা নেই। চম্পাসারি জুনিয়র বেসিক স্কুলের এক শিক্ষক স্বরূপ দাস বলেন, মেলা বসানোর ব্যাপারে আমরা লিখিত অনুমতি দেইনি। বিষয়টি নিয়ে আমরা বুধবার বৈঠকে বসব। বৈঠকে পঞ্চায়েত সদস্য থাকাবেন। একটি সমাধান সূত্র বের করার চেষ্টা করব।