• ‘এক ট্রলি মোরাম নিয়ে গেলেও পুলিশ ধরছে’, পর্যালোচনা বৈঠকে ক্ষোভ মন্ত্রীর
    এই সময় | ০৪ জুন ২০২৫
  • পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের বিভিন্ন প্রকল্পগুলি সঠিকভাবে ব্যবহার হচ্ছে কি না তা জানতে জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে পর্যালোচনা বৈঠক। মঙ্গলবার মেদিনীপুরের প্রদ্যোৎ স্মৃতি সদনেও অনুষ্ঠিত হলো সেই নিয়ে একটি বৈঠক। যেখানে উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুর জেলার বিধায়ক ও আধিকারিকরা। এ দিন বৈঠকের শেষ লগ্নে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরের জনপ্রতিনিধিদের সমস্যার কথা শোনেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এবং সচিব পি. উলগানাথন।

    এ দিন বর্ষার আগে গ্রামীণ রাস্তা পাকা করার দাবি তোলেন বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিরা। সেই সময়ে শালবনীর বিধায়ক তথা রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাত বলেন, ‘পথশ্রী প্রকল্পে রাজ্যে ২২ হাজার কিলোমিটার রাস্তা হয়েছে। তবে বর্ষার আগে গ্রামের অনেক রাস্তার অবস্থাই খারাপ হয়ে যায়। সেই সব রাস্তার জন্য সরকারের আলাদা করে অর্থ বরাদ্দের প্রয়োজন নেই। আমাদের গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতিগুলো ইচ্ছে করলেই মোরাম ঢেলে আপাতত সংস্কার করতে পারে। তাঁদের সেই ইচ্ছাও আছে। কিন্তু, সমস্যা হচ্ছে, এক ট্রলি মোরাম নিয়ে গেলেও পুলিশ ধরছে।’

    এর পরই রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী ২২ হাজার কিলোমিটার রাস্তা করে দেওয়ার পরও মানুষের চাহিদা থাকবে। এ নিয়ে আমাদের এক মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাত একটা পরামর্শ দিয়েছেন। তবে, মোরাম নিয়ে তো প্রশাসনের কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে।’ এ বিষয়ে এই সময় অনলাইন-র কাছে জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘প্রশাসনের পর্যালোচনা বৈঠকে মন্ত্রী তো তাহলে পুলিশের প্রশংসাই করলেন। বালি, মোরাম এগুলো তো পুলিশের আওতায় নয়। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর দেখে। রাজ্য সরকার থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসনের নির্দেশই আছে, অবৈধ মোরাম, বালি পাচার রুখতে হবে। বৈধভাবে বা অনুমতি থাকলে তবেই ছাড় পাবেন। নাহলে তো পুলিশ ধরবেই।’

    জেলার এক অভিজ্ঞ বিধায়ক বলেন, ‘শ্রীকান্ত তো জঙ্গলমহলের মাটির ছেলে। ও মাটির ভাষাতেই কথা বলে। মাঝেমধ্যে তা নিয়ে একটু বিতর্ক হয় ঠিকই। কিন্তু ও নিজের মতো করেই বলে।’

  • Link to this news (এই সময়)