রাতের বেলায় জঙ্গলে মহিষ খুঁজতে যাওয়াই কাল হলো বঙ্কিম মাহাতোর। হাতির হামলায় মৃত্যু হলো তাঁর। দলছুট হাতির হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁর ভাই কালীপদ মাহাতো। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন তিনি। মঙ্গলবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে শালবনি থানার বাঘপিছলা গ্রামে।
বন দপ্তর এবং পুলিশ সূত্রে খবর, সন্ধ্যা থেকেই বাড়ির মহিষের খোঁজ পাচ্ছিলেন না বঙ্কিম মাহাতো। তাই রাতেই তিনি তাঁর ভাইকে সঙ্গে নিয়ে সেই মহিষের খোঁজে বেরিয়ে পড়েন। মহিষকে খুঁজতে তাঁরা পৌঁছে যান আড়াবাড়ি রেঞ্জের মিরগা বিটের অধীন গ্রাম সংলগ্ন মহুলবনির জঙ্গলে। সেখানেই মঙ্গলবার রাত্রি ১০টা নাগাদ দাঁতাল হাতির মুখোমুখি হন তাঁরা।
জানা গিয়েছে, দাঁতালের আক্রমণে গুরুতর জখম হন দু'জনই। তাঁদের চিৎকার শুনে এলাকাবাসী ছুটে এসে তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যান শালবনি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকরা বঙ্কিম মাহাত (৫২)-কে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর ভাই কালীপদ মাহাত-কে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানান্তরিত করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
আড়াবাড়ির রেঞ্জ অফিসার বাবলু মান্ডি জানান, ওই জঙ্গলে একটি দলছুট হাতি অবস্থান করছে। এই কথা জানতেন না বঙ্কিম মাহাতো এবং তাঁর ভাই। তিনি জানান, সরকারি নিয়ম মেনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মৃতের পরিবারের হাতে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ তুলে দেওয়া হবে। সেইসঙ্গে নিয়ম অনুযায়ী পরিবারের একজন হোমগার্ডের চাকরিও পাবেন। আহত ব্যক্তির চিকিৎসার বিষয়েও বন দপ্তর সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনি ছাড়াও গড়বেতা, গোয়ালতোড় এলাকায় ঘুরে বেড়ায় হাতির দল। এই এলাকার জঙ্গলে বেশ কয়েকটি দলছুট হাতিও আছে। এই কারণে ওই সমস্ত এলাকার জঙ্গলে বাসিন্দাদের সতর্ক হয়ে চলাফেরা করার পরামর্শ দিয়েছেন বনবিভাগের আধিকারিকরা।