• ৫ মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড হরিশ্চন্দ্রপুর
    বর্তমান | ০৪ জুন ২০২৫
  • সংবাদদাতা, হরিশ্চন্দ্রপুর: মিনিট পাঁচেকের ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড হরিশ্চন্দ্রপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। উড়ে গিয়েছে অসংখ্য বাড়ির চাল। ভেঙে পড়েছে একাধিক গাছ। উপড়ে গিয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। সবমিলিয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন। সোমবার রাত আটটা নাগাদ  ঘূর্ণিঝড় শুরু হলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বরুই ও কুশিদা অঞ্চলে। কয়েক মিনিটেই তছনছ হয়ে যায় বরুই অঞ্চলের পেমা, রানিটোলা, মল্লিকপুর, মিঠাপুকুর, গিধিনপুকুর ও বাকুপাড়া সহ বিভিন্ন গ্রাম।

    কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের বালুভোরট গ্রামেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এদিনের ঝড়ে। বাড়ির চাল উড়ে যাওয়ায় খোলা আকাশের নীচে থাকতে হচ্ছে বেশকিছু পরিবারকে। বিলাসী বাজারে প্রায় দু’শো বছরের পুরনো বটগাছ উপড়ে যায়। একাধিক আমের বাগানে গাছ ভেঙে ক্ষতি হয়েছে চাষিদের। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে বিচ্ছিন্ন হয়েছে পরিষেবা। দুর্যোগের রাত আঁধারে কাটাতে হয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের।

    পেমা গ্রামের বাসিন্দা ক্ষতিগ্রস্ত তারামণি বিবির কথায়, স্বামী ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়েছেন। দুটি ঘরের টিনের চাল উড়ে গিয়েছে। এখন পরিবার নিয়ে থাকব কোথায়, ভেবে পাচ্ছি না। রানিটোলা গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ দুখুর মন্তব্য, আমার একমাত্র শোওয়ার ঘরের টিনের চাল উড়ে গিয়েছে। অসুস্থ বলে খাটতেও পারি না। কীভাবে টাকাপয়সা জোগাড় করে ফের বাড়ির কাজ করব, সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি। 

    ব্যাপক ক্ষতক্ষতির খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে এলাকা পরিদর্শনে যান‌ হরিশ্চন্দ্রপুর-১  এর বিডিওর প্রতিনিধি দল ও স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যরা। পাশাপাশি কংগ্রেস নেতা মোস্তাক আলম ও আব্দুল মান্নান এলাকায় গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

    জেলা পরিষদের কৃষি সেচ ও সমবায় কর্মাধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম বলেন, বরুই ও কুশিদা অঞ্চলে অনেকগুলি কাঁচা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিডিও, এসডিও ও ডিএমকে বিষয়টি জানিয়েছি। ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। 

    বিডিও সৌমেন মণ্ডল বলেন, ভেঙে পড়া গাছ সরানোর কাজ চলছে। বিদ্যুৎ দপ্তর নতুন করে খুঁটি বসিয়ে দ্রুত পরিষেবা চালু করার কাজ শুরু করেছে। যে সমস্ত বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে, সেই পরিবারগুলিকে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে।ঝড়ে উড়ে গিয়েছে ঘরের চাল। - নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)