সাদ্দাম খুনে মৌমিতার সঙ্গীদের খোঁজ, পরীক্ষা করা হচ্ছে মোবাইলের তথ্য
বর্তমান | ০৪ জুন ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ ও সংবাদদাতা, তপন: সাদ্দাম নাদাবের পচাগলা দেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টা পার হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনের সিহুর গ্রামে বাড়ির ভিতর থেকে উৎকট গন্ধ ভেসে আসা বন্ধ হয়নি। রয়েছে আতঙ্কের পরিবেশ। খুনি মৌমিতা হাসানের বাড়ির আশেপাশের বাসিন্দারা সোমবার রাতেই এলাকা ছেড়ে আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। বাড়ি সিল করে ঘিরে রেখেছে পুলিস। মোতায়েন রয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার। স্থানীয় এক বাসিন্দা বললেন, গন্ধ এতটাই তীব্র যে দম বন্ধ হয়ে আসার উপক্রম। কয়েকজন অসুস্থও হয়ে পড়েছেন। চোখের সামনে সবসময় দেহ উদ্ধারের ছবি ভাসছে। শিউরে ওঠার মতো পরিস্থিতি দেখে কয়েকটি পরিবার রাতেই গ্রাম ছেড়ে আত্মীয়ের বাড়ি চলে যায়। ইংলিশবাজার থানার পুলিসও নতুন তথ্য জোগাড় করতে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করে যাচ্ছে মৌমিতাকে। একটা বিষয়ে তদন্তকারীরা নিশ্চিত, মৌমিতার একার পক্ষে খুন করে দেহ লুকনো সম্ভব ছিল না। কারা তাঁকে খুনে সাহায্য করেছেন, সেই সহযোগীদের হদিশ পাওয়াই এখন তদন্তকারীদের প্রধান লক্ষ্য। ইতিমধ্যে সাদ্দাম ও মৌমিতার ফোনের লোকেশন সহ অন্যান্য তথ্য খতিয়ে দেখেছে পুলিস। সেই সূত্র ধরে এবার বাকি তদন্ত দ্রুত শেষ করতে চান তদন্তকারীরা। যার মধ্যে অন্যতম, মৌমিতার বাবা-মায়ের হদিশ পাওয়া। মঙ্গলবার মৌমিতার স্বামী রহমান নাদাপকে দফায় দফায় দীর্ঘক্ষণ জেরা করা হয়। তিনি পুলিসকে জানিয়েছেন, সোমবার জানতে পারেন সাদ্দামকে তাঁর স্ত্রী খুন করেছেন। কারণ সাদ্দাম তাঁর স্ত্রীকে নানা ভাবে ব্ল্যাকমেল করতেন। প্রাণরক্ষার জন্য মৌমিতা খুন করতে বাধ্য হয়েছেন। মৌমিতা ও সাদ্দামের মধ্যে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক প্রায় পাঁচ বছরের। ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকায় সাদ্দামের উপার্জনের সিংহভাগ নিজের কাছে রাখতেন মৌমিতা। কিন্তু বিয়ের প্রস্তাবে মৌমিতা বেঁকে বসেছিলেন। এদিকে সাদ্দামের টাকাও হাতছাড়া হওয়ায় বিরোধ বাড়ছিল। তদন্তকারী ও গ্রামবাসীদের সূত্রে খবর, মৌমিতার এক আত্মীয় মিস্ত্রির কাজ করেন। তিনি এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন। তাঁকে বেশ কয়েকবার ওই বাড়িতে দেখা গিয়েছিল। তপন থানার পুলিস ওই এলাকায় নজরদারি বাড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এলাকায় দ্রুত জীবাণুনাশক প্রয়োগ করার দাবি জানিয়েছেন প্রশাসনের কাছে।