• কংগ্রেস প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, জমা পড়েছে নালিশ
    বর্তমান | ০৪ জুন ২০২৫
  • সংবাদদাতা, মানিকচক: কংগ্রেস প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তুলে মঙ্গলবার ব্লক ও জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন বিজেপির উপপ্রধান। তৃণমূল সদস্যদের সহায়তায় কেন্দ্রীয় সরকারের স্বচ্ছ ভারত মিশন প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন তিনি। মানিকচক ব্লকের ধরমপুর পঞ্চায়েতের সদস্য সংখ্যা ১০। যার মধ্যে কংগ্রেস ও বিজেপির চারজন করে এবং তৃণমূলের দু’জন সদস্য রয়েছেন। কংগ্রেস ও বিজেপি জোট করে গ্রাম পঞ্চায়েত পরিচালনা করে। প্রধান কংগ্রেসের কদবানু বিবি এবং উপপ্রধান বিজেপির লতিকা মণ্ডল। তবে গত এক বছরে প্রধান বিভিন্ন দুর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ। সম্প্রতি স্বচ্ছ ভারত মিশনের লিচপিট কাজে দুর্নীতি নিয়ে সরব হন উপপ্রধান। তাঁর দাবি, টেন্ডারে ৪২টি লিচপিট এর কাজ ধরা হলেও কয়েকটি মাত্র করা হয়েছে। তার উপর ব্লক ও জেলা প্রশাসনের নির্দেশে নতুন করে ১২৮ টি লিচপিটের কাজ ধরেছে পঞ্চায়েত। এই কাজের নামে টাকা নয়ছয়ের চেষ্টা হওয়ায় প্রধানকে বাধা দেন বিজেপির উপপ্রধান সহ ওই দলের সদস্যরা। কিন্তু উপপ্রধানকে বাদ দিয়ে তৃণমূল সদস্যদের নিয়ে এই টেন্ডার প্রক্রিয়া করেন কংগ্রেসের প্রধান। এর বিরুদ্ধে মঙ্গলবার মানিকচক ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ হন বিজেপির উপপ্রধান সহ চার সদস্য। তাঁরা লিখিত অভিযোগ জানান বিডিও, জেলা প্রশাসনকে। উপপ্রধান লতিকা বলেন, লিচপিটের কাজে ৪৫ হাজার টাকা বরাদ্দ হলেও ২০ হাজারের কাজ করে বাকি টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে। ঠিকাদারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে প্রধান টাকা নয়ছয় করছেন। তাঁকে বাধাও দিলেও তৃণমূলকে সঙ্গে নিয়ে সমস্ত টাকা হাতানোর পরিকল্পনা করছেন। আগের কাজ শেষ হওয়ার পরই যাতে নতুন টেন্ডার হয়, তার আবেদন জানিয়েছি। পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের সুরজিৎ মণ্ডল বলেন, কংগ্রেসের প্রধান উন্নয়ন কাজ করায় আমরা তাঁকে সমর্থন করেছি।

    যদিও অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন প্রধান কদবানু বিবি। তাঁর কথায়, লিচপিটের বেশিরভাগ কাজ করা হয়েছে।  বাকিটা দ্রুত শেষ হবে বলে নতুন করে ১২৮ টি লিচপিটের কাজ ধরা হয়েছে। টাকা আত্মসাৎ বা দুর্নীতির প্রশ্ন নেই। উন্নয়নমূলক কাজে বাধা দিচ্ছেন বিজেপির উপপ্রধান।  
  • Link to this news (বর্তমান)