• এক দশকের বেশি বন্ধ থাকা মিল্ক চিলিং প্ল্যান্ট ফের চালুর উদ্যোগ, খুশি গোপীবল্লভপুরবাসী
    বর্তমান | ০৪ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্ৰাম: রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় আসার পর গোপীবল্লভপুর-২ ব্লকে দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছিল। তবে, সেটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। এবার তা ফের চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গোপীবল্লভপুর-২ ও সাঁকরাইল ব্লকে ১৮টি দুগ্ধ সমবায় কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ শেষ। পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলা মিলিয়ে মোট ১৫০টি দুগ্ধ সমবায় কেন্দ্র খোলার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

    ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্ময়ী মারাণ্ডি বলেন, গ্ৰামীণ এলাকার মানুষকে গো-পালনে উৎসাহিত করা হচ্ছে। দুগ্ধ কেন্দ্রটি চালু করার প্রস্তুতি চলছে। এই উদ্যোগ জেলায় দুগ্ধ উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করবে।

    জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকার গুণমান সমৃদ্ধ দুধ সরবরাহের মাধ্যমে আঞ্চলিক অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্য নিয়েছে। গোপীবল্লভপুর-২ ব্লকের দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্রটি একযুগের বেশি সময় ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়েছিল। জেলা পরিষদ সেটি নতুন করে চালু করার উদ্যোগ নেয়। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগে কেন্দ্রটি গড়ে তোলা হয়েছিল। বহু বছর ধরে পড়ে থাকায় কেন্দ্রটির মেশিনপত্র বিকল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। স্থানীয় দুগ্ধ ব্যবসায়ীদের তরফ থেকেও কেন্দ্রটি চালু করার দাবি উঠছিল। সমবায়গুলি থেকে দুধ সংগ্রহ করে দুগ্ধ কেন্দ্রে শীতলীকরণ করা হবে। সেই দুধ কলকাতার বাংলা ডেয়ারিতে পাঠানো হবে। দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার প্যাকেটজাত করে বাজারে বিক্রি করা হবে। পশ্চিমবঙ্গ দুগ্ধ সমবায় কেন্দ্রের জেলা শাখার দ্বারা এই দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্রটি পরিচালিত হবে। সাঁকরাইল ও গোপীবল্লভপুর-২ ব্লকে ইতিমধ্যে ১৮টি দুগ্ধ সমবায় কেন্দ্র গড়া হয়েছে। গোপীবল্লভপুর-১ ও ২ ব্লকের হাতিবাড়ি ও গোবিন্দপুর এলাকায় আরও ৪০টি দুগ্ধ সমবায় কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। 

    জেলা সভাধিপতি ও জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরা এই কেন্দ্রটি গত সোমবার পরিদর্শন করেছেন। পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলা থেকে সংগৃহীত দুধের বেশিরভাগ কলকাতার বাংলা ডেয়ারিতে পাঠানো হয়। হুগলির ডানকুনিতে প্ল্যান্টটি রয়েছে। প্রতিদিন কত পরিমাণ দুধ পাঠানো হবে তারও লক্ষ্যমাত্রা থাকে।

    গোপীবল্লভপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শর্বরী অধিকারী বলেন, দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্রটি ২০১২ সালে তৈরি করা হয়। তারপর থেকে কেন্দ্রটি পড়েই ছিল। গোপীবল্লভপুর মূলত কৃষি প্রধান এলাকা। গ্ৰামীণ এলাকার বাসিন্দাদের সকলের বাড়িতে অন্তত একটি বা দু’টি করে গোরু আছে। দুগ্ধ কেন্দ্রটি চালু হলে এলাকার গো-পালনকারী ও দুধ ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। মেদিনীপুর মিল্ক ইউনিয়নের পরিচালন অধিকর্তা মলয়কুমার দাস বলেন, আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে গোপীবলভপুর-২ ব্লকের দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্রটি চালু করা হবে। প্রাথমিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে গিয়েছে। এই উদ্যোগ ঝাড়গ্রাম জেলার গ্ৰামীণ অর্থনীতিতে নিশ্চিতভাবে প্রভাব ফেলবে।
  • Link to this news (বর্তমান)