• তিলখেতে ছাত্রীর অর্ধনগ্ন ও নলি কাটা দেহ উদ্ধার, খুনের অভিযোগ পরিবারের
    বর্তমান | ০৪ জুন ২০২৫
  • সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর: মঙ্গলবার সকালে রঘুনাথগঞ্জের রানিনগরে দশম শ্রেণির ছাত্রীর অর্ধনগ্ন ও গলার নলি কাটা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। দেহটি তিলখেতে পড়ে ছিল। নিম্নাঙ্গে কাপড় ছিল না বলে দাবি স্থানীয়দের। এই ঘটনায় কিশোরীকে খুনের অভিযোগ করেছে পরিবারের লোকজন। পরিবার অভিযোগে জানিয়েছে, ওই এলাকারই এক যুবককে সঙ্গে কিশোরীর প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। সোমবার কিশোরীর প্রেমিক তাকে ‘অসৎ উদ্দেশ্যে’ ডেকে পাঠায়। তারপর তারসঙ্গে ‘অপকর্ম’ করে খুন করা হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে, রানিনগরের এক মহিলাকে আটক করেছে পুলিস। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। কিশোরীকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে কি না, তাও তদন্ত করে দেখছে পুলিস।

    রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিস জানিয়েছে, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তের খোঁজ চলছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক মহিলাকে থানায় ডাকা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

    পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার বাড়ি সামশেরগঞ্জ থানা এলাকায়। সে স্থানীয় একটি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। সোমবার স্কুল যাওয়ার নাম করে সে বাড়ি থেকে বের হয়। স্কুল থেকে ফিরে না আসায় তার পরিবারের লোকজন খোঁজ শুরু করেন। এলাকায় ও আত্মীয়দের বাড়িতে খোঁজ করেও তার কোনও সন্ধান মেলেনি। অবশেষে ওইদিন রাতে কিশোরীর মা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। এদিন সকালে রঘুনাথগঞ্জের রানিনগরে ভাটুপাড়া বড়বাগান সংলগ্ন তিলের জমিতে তার দেহ পড়ে থাকতে দেখেন বাসিন্দারা। দেহের উপরের অংশে পোশাক থাকলেও নিন্মাঙ্গে কোনও পোশাক ছিল না বলে দাবি স্থানীয়দের। গলার নলি কাটা ছিল। মাটিতে রক্তের দাগ ছিল। দেহটি অর্ধনগ্ন অবস্থায় থাকায় তারসঙ্গে ‘অপকর্ম’ করা হয়েছে বলে পরিবারের দাবি।  পরিবারের সদস্যদের দাবি, সম্প্রতি কিশোরীর এক প্রতিবেশীর বিয়ে হয় রানিনগরে। বিয়ের সময় রানিনগরের এক যুবকের সঙ্গে ওই কিশোরীর পরিচয় হয়। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই যুবকের কথাতেই সে ঘর থেকে বেরিয়ে ছিল বলে পরিবারের দাবি। তার প্রেমিকই কিশোরীকে ডেকে অপকর্মের পর খুন করে। তারপর প্রমাণ লোপাট করতে রাতে লোকালয় থেকে কিছুটা দূরে জমির মধ্যে ফেলে পালিয়ে যায়। স্থানীয় গৃহবধূ হালিমা বিবি বলেন, মেয়েটির গলা কাটা অবস্থায় ছিল। কে বা কারা এই অপকর্ম ঘটিয়েছে, তা তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তার করুক পুলিস।

    স্থানীয় এক পঞ্চায়েত সদস্য সেরাজুল মুস্তাকিম বলেন, মেয়েটিকে খুন করা হয়েছে। কে বা কারা এর পিছনে রয়েছে, তা তদন্ত করে দেখুক পুলিস। স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আব্দুল বারিক বলেন, শুনেছি মেয়েটির এক যুবকের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। কী ঘটেছে তদন্ত করে দেখুক পুলিস। যে বা যারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের চরম শাস্তি হোক। পুলিস জানিয়েছে, ঘটনার সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যে বা যারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, তারা কেউ ছাড় পাবে না।
  • Link to this news (বর্তমান)