যুবক খুনে মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার, থমথমে এলাকায় মোতায়েন পুলিস
বর্তমান | ০৪ জুন ২০২৫
সংবাদদাতা, বারুইপুর: বকুলতলায় যুবক খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল পুলিস। এই নিয়ে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল দুই। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের নাম কুতুবউদ্দিন লস্কর। তাঁর বাড়ি পশ্চিম রূপনগরে। ঘটনার দিন, অর্থাৎ সোমবার রাতে মোক্তার লস্কর নামে এক যুবক ধরা পড়েছিল। খুনের ঘটনার পর এদিনও এলাকা ছিল থমথমে। মোতায়েন ছিল পুলিসবাহিনী। যে ১৩ জনের নামে এফআইআর করেছিল মৃতের পরিবার, তাতে এদের নাম ছিল। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে পুলিস।
ঘটনার পিছনে প্রকৃত কারণ কী? কয়েকজন যুবকের মদ্যপানের প্রতিবাদ করার ফলেই কি এত বড় কাণ্ড ঘটল? পুলিস তদন্তে জানতে পেরেছে, কয়েক সপ্তাহ আগে বুইচবাটি গ্রামে ঘোড়াদৌড়ের আয়োজন করা হয়েছিল। চাঁদা তোলার বিলে আয়োজক হিসেবে নাম ছিল শুধু মৃত যুবক সায়েম আলি খানের পরিবারের। এতেই ক্ষুব্ধ হয়েছিল কুতুবউদ্দিন। কেন তাঁর নাম নেই, এই নিয়ে রাগ হয়েছিল কুতুবউদ্দিনের। সোমবার ওই অভিযুক্ত তাঁর দলবলের সঙ্গে মদ্যপানের সময় সায়েমের বাড়ির লোক প্রতিবাদ করলে, আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তিনি। তারপরেই ওই দুষ্কৃতীদের রোষে পড়তে হয় ওই যুবকের পরিবারকে। তখনকার মতো গোলমাল থামলেও পরদিন ফের হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। বাধা দিতে গেলে তাঁদের মারে প্রাণ যায় সায়েমের।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, রোজ মদ্যপানের আসর বসিয়ে গালিগালাজ করত ওই দুষ্কৃতীরা। কিন্তু পুলিস কখনও ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকী, রবিবার রাতের গোলমাল পুলিস মিটিয়ে দিলেও কাউকে ধরা হয়নি। ফলে পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। এনিয়ে বারুইপুর পুলিস জেলার এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, কোনও ঘটনা ঘটলেই পুলিসকে দোষারোপ করা হয়। পুরনো ঘটনাগুলি নিয়ে কোনও অভিযোগ আসেনি। এলে নিশ্চই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতো।
বারুইপুর পুলিস জেলার সুপার পলাশচন্দ্র ঢালী বলেন, ১৩ জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পরে খুনের মামলা যোগ হয়। ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। কি কারণে এই ঘটনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। -নিজস্ব চিত্র