• আশুদি বিল ঘিরে তৈরি হবে ইকো ট্যুরিজম পার্ক
    বর্তমান | ০৪ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: কংক্রিটের চার দেওয়ালে বন্দি মানুষ। বদলাচ্ছে না রোজনামচার একঘেয়েমি। পাশাপাশি প্রকৃতিও হারাচ্ছে ভারসাম্য। তাই একদিকে পরিবেশ বাঁচানো, আর অন্যদিকে কর্মজীবনের ক্লান্তি ঘুচিয়ে মানুষকে একটু আনন্দ দিতে কলকাতার অদূরে হাবড়া ২ ব্লকে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে তৈরি হবে ইকো ট্যুরিজম পার্ক। সঙ্গে থাকবে গ্রামের মাটির বাড়ি থেকে জৈব চাষও।

    হাবড়া ২ ব্লকের শ্রীকৃষ্ণপুর পঞ্চায়েতের মধ্যে রয়েছে আশুদি বিল। সেখানেই রয়েছে একটি অশ্বখুরাকৃতি হ্রদ। একই দাগ নম্বরে এই বিলের সঙ্গে রয়েছে কমবেশি ২২ একর খাস জমি। সব মিলিয়ে প্রায় ১০০ একর জমি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বিল একটা সময় ছিল মৎস্যজীবীদের উপার্জনের জায়গা। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে সেটি এখন কচুরিপানায় ভর্তি। তবে শীতে আসে পরিযায়ী পাখি।

    তবে গুরুত্বপূর্ণ এর ভৌগোলিক অবস্থান। এখান থেকে সহজেই চলে যাওয়া যায় চাকলার লোকনাথ ধাম, বেড়াচাঁপার চন্দ্রকেতু গড়, হাড়োয়ার পীর গোরাচাঁদ মাজার, ধান্যকুড়িয়া রাজবাড়ি সহ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তৈরি অশোকনগরে বিমানঘাঁটিতে। তাই, এই জায়গায় ইকো ট্যুরিজম পার্ক তৈরি করলে শহরের মানুষ গ্রাম্য পরিবেশ পাবে। তাঁরা ঘুরতেও যেতে পারবে উক্ত জায়গাগুলিতে। তাই আশুদি বিলকে ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র গড়তে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। 

    পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে যে, হোম স্টে-এর মতো সুবিধা রেখেই তৈরি হবে এই ইকো ট্যুরিজম পার্ক। ঠিক হয়েছে, গ্রামের পরিবেশ বজায় রাখতে তৈরি হবে মাটির বাড়ির আদলে আধুনিক কটেজ। সেখানে বসেই দেখা যাবে আশুদি বিলের সৌন্দর্য। বিল সংস্কার করা হবে। থাকবে বোটিংয়ের সুবিধা, ফল, ফুলের গাছ। পার্কেই পালন করা হবে হাঁস-মুরগি। এনিয়ে সভাধিপতি তথা স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী বলেন, এই কাজের জন্য আমাদের পরিকল্পনা চূড়ান্ত। মূলত, জেলা পরিষদের তহবিল থেকেই এই ইকো টুরিজম পার্ক হবে। বেসরকারি একটি এজেন্সি এই কাজ করবে। তারা গোটা পরিকল্পনার ম্যাপ আমাদের দিয়েছে। তবে, কত খরচ হবে, সেই অঙ্ক এখনই স্পষ্ট করে বলা যাবে না। ক’দিনের মধ্যেই টেন্ডার করে এটি জানা যাবে। প্রাথমিকভাবে পাঁচটি কটেজ নির্মাণ করে ইকো ট্যুরিজম পার্ক চালু করা হবে। পরে পরিস্থিতি বুঝে কটেজের সংখ্যা বৃদ্ধি করা যেতে পারে। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)