• ৬ সেতুর নীচ থেকে বেআইনি নির্মাণ-দখলদার সরাতে টেন্ডার
    বর্তমান | ০৪ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শহরের বিভিন্ন নিকাশি খালের উপর যেসব ব্রিজ রয়েছে, তার নীচে এবং লাগোয়া অংশে বেআইনি নির্মাণ, জবরদখল দেখা যায়। এবার এই দখলদারদের হটাতে উদ্যোগী হল কেএমডিএ (কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি)। শহরের এমন ছ’টি জায়গায় দখলদার সরানো এবং ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়ার জন্য সম্প্রতি প্রায় ৫৫ লক্ষ টাকার টেন্ডার ডেকেছে কর্তৃপক্ষ। কিছুদিন আগে নিউ আলিপুরের দুর্গাপুর ব্রিজের নীচের ঝুপড়িতে আগুন লাগে। ওই ঘটনায় রাজ্য সরকারের পূর্তদপ্তরের আওতাধীন সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার কেএমডিএ তাদের আওতাধীন সেতুগুলির তলায় থাকা দখলদারদের সরিয়ে ব্রিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তৎপর হয়েছে। 

    সম্প্রতি কেএমডিএর তরফে চেতলা লকগেট ব্রিজ, মানিকতলায় সার্কুলার ক্যানালের উপর বাগমারি সেতু, চিৎপুর ব্রিজ, উল্টোডাঙায় কৃষ্ণপুর খালের উপর স্লিপ ব্রিজের নীচে থাকা বেআইনি নির্মাণ ভাঙা ও দখলদারদের সরানোর জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে। এই সেতুগুলির নীচের জায়গা দখলমুক্ত করে ব্যারিকেড দেওয়ারও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, ই এম বাইপাসের উপরে থাকা চিংড়িঘাটা সেতু এবং আম্বেদকর সেতুর নীচেও ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়ার জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে কেএমডিএর এক কর্তা বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় নিকাশি খালের উপর থাকা ছোট সেতুর নীচে এবং লাগোয়া দেওয়ালে ঝুপড়ি, দোকান সহ নানা ধরনের বেআইনি নির্মাণ গজিয়ে উঠেছে। অগ্নিকাণ্ডের মতো দুর্ঘটনা ঘটলে ব্রিজের বড়সড় ক্ষতি হতে পারে। ক’দিন আগে নিউ আলিপুরের দুর্গাপুর সেতুর তলার ঝুপড়িতে আগুন লাগার ফলে ব্রিজের বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মোটা টাকা খরচ করে সংস্কার করতে হচ্ছে এখন সেই ব্রিজ। এই অবস্থায় কেএমডিএর হাতে থাকা কোনও সেতুর যাতে এই পরিণতি না হয়, তা নিশ্চিত করতে আগাম এই সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। দখলদারদের সরানোর পর তারা যাতে আর ওই জায়গায় ফিরে আসতে না পারে, তার জন্য ওই জায়গা ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হবে।’ ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে ব্রিজের সুরক্ষা নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি অগ্নিকাণ্ড কমবে সার্বিকভাবে। এরকম জায়গায় সাধারণত চায়ের দোকান, ছোটখাটো খাবারের দোকান থাকে। এসব দোকানে আগুন জ্বালাতে হয় ব্যবসার প্রয়োজনেই। তাছাড়া, দোকানপাট বা ঝুপড়ির বর্জ্য ওই চত্বরে জমা হলে ইঁদুরের দাপাদাপি বেড়ে যায়। সেই ইঁদুর ব্রিজের গোড়ার মাটি আলগা করে দিলে বড় বিপদের আশঙ্কা থাকে।
  • Link to this news (বর্তমান)