প্রদ্যুত্ দাস: জামাইয়ের হাতে প্রাণ হারাতে হল শ্বশুরকে। জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের শিকারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চিলকাপাড়া এলাকার এই ঘটনা রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, গতকাল সন্ধেয় জামাই শ্বশুরবাড়িতে আসে। দরজার কাছেই শ্বশুরকে পেয়ে পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দেয়।
নিহতের মেয়ে সুরভি রায়ের কথায়, ‘আমি বাইরে থাকি। শুনলাম বাবাকে ছুরি দিয়ে খুন করেছে স্বামী। আমি ওর সঙ্গে থাকতাম না। বাইরে বেরিয়ে এসেছিলাম কয়েক মাস আগে। পারিবারিক অশান্তির কারণেই বেরিয়েছিলাম। কয়েকদিন বাবার বাড়িতে থাকব বলে এসেছিলাম, কিন্তু বাবার পরিণতি এই করবে ভাবতে পারিনি। আমরা উপরে অত্যাচার করত। ’
অভিযুক্ত জামাইয়ের নাম বিপুল রায়। সোমবার রাতেই অভিযোগ পেয়ে তড়িঘড়ি তাকে গ্রেপ্তার করে বেলাকোবা ফাঁড়ির পুলিস। অভিযুক্তের ভাই কাজু রায়ের কথায়, ‘আমি শুনলাম ওর স্ত্রীকে দেখতে গেছিল। কিন্তু সেখানেই শ্বশুর-শাশুড়ির কটূক্তি শুনতে হয় ওকে। আর এতেই বচসা হয়। রাগের মাথায় হাতাহাতি হয়। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে যা শুনলাম, এই বচসার জেরেই খুন। ওদের পারিবারিক অশান্তি লেগেই থাকত।’
নিহতের স্ত্রীর বলেন, গতকাল সন্ধেয় জামাই আমাদের বাড়িতে আসে। আমার স্বামী বাড়ির দরজা বন্ধ করতে গিয়েছিল কোনও ঝগড়ায় জড়াব না বলে। তার মধ্যেই জামাই ওর পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দেয়। ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে দেখি দারজার কাছেই ও লুটিয়ে পড়েছে। জামাইয়ের কঠিন শাস্তি চাই। তা না হলে আমাদের সবাইকে শেষ করে দেবে। এক বছর ধরে অশান্তি চলছে। মেয়ের উপরে ওর মা-বাবা টর্চার করে। সিজার হয়েছে। তার পরও ওকে রেহাই দেয়নি। বাধ্য হয়েই মেয়ে আমাদের বাড়িতে চলে এসেছে। সেটাই জামাইয়ের রাগ।