অনুব্রত দেননি। তবে তৃণমূলের ছাত্র নেতা বিক্রমজিৎ সাউ বুধবার সকালে সিউড়ি থানায় হাজিরা দিলেন। নির্ধারিত সময়ের আগেই এ দিন তিনি থানায় হাজির দেন বলে খবর। সিউড়ি থানা থেকে যদিও বিষয়টি নিয়ে সরকারিভাবে কিছু জানান হয়নি।বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারের সঙ্গে কুরুচিকর ভাষায় কথোপকথনের ঘটনায় অনুব্রতকে আগেই থানায় হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ ছিল। ওই ঘটনাতেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাসপেন্ডেড সভাপতি বিক্রমজিৎ সাউয়ের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের হয়েছিল।
বুধবার সকাল দশটায় হাজিরার জন্য ডাকা হয়েছিল বিক্রমজিৎকে। পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন সকাল ছ’টা থেকে সাড়ে ছ’টার মধ্যে থানায় যান বিক্রমজিৎ। প্রায় এক ঘণ্টা সিউড়ি থানায় ছিলেন তিনি। অনুব্রতর পাশে দাঁড়িয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে তিনি যা মন্তব্য করেছেন, সেই সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে খবর।
বোলপুর থানার আইসির সঙ্গে কথোপথনের অডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরেই অস্বস্তিতে পড়তে হয় রাজ্যের শাসক দলকে। সেই সময়েই বীরভূম জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি বিক্রমজিৎ সাউ সম্যমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন।
সেখানে তিনি লেখেন, ‘লিটন হালদার নাম নিয়ে বলছি, তোমার দম থাকলে, অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে, বীরভূম জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নামে FIR করে দেখাও। তুমি নিজে জানো, তুমি একজন দুর্নীতিপরায়ণ। আমার কাছে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ আছে। তুমি যদি ভাবো ডালে ডালে চলবে, তোমাদের শিরায় উপশিরায় আমরা চলি।’
ছাত্র নেতার বাবা তথা সিউড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বিদ্যাসাগর সাউ বলেন, ‘গত ৩১ মে ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছি। ছেলেকে ভর্ৎসনা করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছি। ও যে ভাষা প্রয়োগ করেছে, তাতে আমি লজ্জিত।’
এই মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ার পরেই বীরভূমের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি বিক্রমজিৎ সাউকে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করে দল। বুধবার তাঁকে নোটিস ধরায় পুলিশ। বুধবারই থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল তাঁকে।