• ‘ভয়ঙ্কর খেলা’ বীরভূমে, কেষ্টভূমেই কেষ্টবাণী ব্যুমেরাং, কাজল শেখের শরণে অনুব্রত-অনুগামীরা
    এই সময় | ০৪ জুন ২০২৫
  • এক সময়ে বীরভূমে কান পাতলে শোনা যেত, ‘কেষ্ট সহায় যার, কিছুতেই ভয় নাই তার’। অনুব্রতর বাণী, ‘ভয়ঙ্কর খেলা হবে’ এখনও ভাইরাল। তবে অনুব্রত কি আজকাল আর খেলা ঘোরাতে পারছেন? নাকি তাঁকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছেন কাজল শেখ? বুধবার যে ছবি বীরভূমে দেখা গেল, তার পর এমনই প্রশ্ন বিরোধীদের। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি বীরভূমে রাশ আলগা হচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলের? তাঁর অনুগামীরা কি এ বার আস্থা রাখছেন কাজল শেখের উপর? এ দিন সাঁইথিয়া বিধানসভার বনগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান-সহ অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামী একদল নেতা-কর্মী হাজির হলেন কাজল শেখের দুয়ারে। শুধু হাজিরই হলেন না, স্পষ্ট বললেন, অনুব্রতর উপর আস্থা নেই তাঁদের।

    বনগ্রাম গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান হাঁসু বাগদি, উপপ্রধান তুষারকান্তি মণ্ডল-সহ ১১ জন সদস্য ও ৩ জন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য এদিন কঙ্কালীতলার বনডাঙার তৃণমূল কার্যালয়ে গিয়ে কাজল শেখের সঙ্গে দেখা করেন।

    তুষারকান্তি মণ্ডল বীরভূমে অনুব্রতর অনুগামী বলেই পরিচিত। এ দিন তাঁকে এই কাজল প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তাঁর স্পষ্ট উত্তর, ‘কেষ্টদার অনুগামী ছিলাম। গত এক মাস ধরে বারবার বনগ্রাম পঞ্চায়েতের কাজ নিয়ে কেষ্টদার কাছে গিয়েছি। এত বার গিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি, অপদস্থ হয়েছি। তাই আমাদের পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা, প্রতি বুথের সভাপতি এবং সক্রিয় কর্মীরা ঠিক করেছেন, আগামী দিনে কাজলদার নেতৃত্বেই আমরা তৃণমূলের হয়ে লড়ব। কেষ্টদাকে আমরা ভালোবাসি, তবে তাঁর কাছে গিয়েও কোনও কাজ তো হচ্ছে না। তাই আমরা নেতা বদলাতে বাধ্য হলাম।’

    বীরভূমের জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও কোর কমিটির সদস্য কাজল শেখ অবশ্য জানান, এই পঞ্চায়েত খুব ভালো কাজ করে। উন্নয়নের ক্ষেত্রে ওদের যদি কোনও সমস্যা থাকে, লিখিত আকারে জেলা পরিষদকে জানাতে হবে। কেষ্ট অনুগতদের আনুগত্য বদল প্রসঙ্গে কাজলের বক্তব্য, ‘আমি একজন দলের কর্মী। আমি কর্মী হিসাবে কাজ করছি, করব। আমাদের সকলের উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী হওয়া।’

  • Link to this news (এই সময়)