১৪ বছরের এক কিশোরকে চোর অপবাদ দিয়ে উল্টো করে ঝুলিয়ে ইলেকট্রিক শক দেওয়ার অভিযোগে দু'জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতরা হল মোস্তাফা কামাল এবং তৌহিদ আলম। তবে নির্যাতিত কিশোরের এখনও কোনও হদিশ মেলেনি। কারখানার মালিক, অর্থাৎ মূল অভিযুক্ত শাহেনশাও এখনও পলাতক। শাহেনশার কারখানাতেই কাজ করে ধৃত মোস্তাফা ও তৌহিদ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতেই মহেশতলা থেকে মোস্তাফা এবং তৌহিদকে আটক করে রবীন্দ্র নগর থানার পুলিশ। টানা জিজ্ঞাসাবাদের পরে বুধবার সকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের জেরা করে মূল অভিযুক্ত শাহেনশা-র হদিশ পাওয়ার চেষ্টা চলছে।
অন্য দিকে, এদিন সকাল থেকে ইসলামপুরে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। দোষীদের গ্রেপ্তারি এবং ন্যায়বিচারের দাবিতে পথে নেমেছেন মাটিকুন্ডা এলাকায় বাসিন্দারা। রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে চলছে অবস্থান বিক্ষোভ।
প্রসঙ্গত, মহেশতলায় জিন্সের প্যান্ট ওয়াশের কারখানা রয়েছে ইসলামপুরের বাসিন্দা শাহেনশার। সেই কারখানায় কাজ দেওয়ার নামে একই পরিবারের দুই ভাইকে তিনি ইসলামপুর থেকে মহেশতলায় নিয়ে এসেছিলেন। গত দু’মাস ধরে সেখানেই কাজ করছিলেন ওই দুই ভাই। তাদের বাড়ি ইসলামপুর থানার ছোঘরিয়া এলাকায়।
সূত্রের খবর, এক ভাইয়ের বিরুদ্ধে মোবাইল চুরির অভিযোগ তুলে বেদম মারধর করেন কারখানার মালিক এবং কর্মীরা। উল্টো করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় ইলেকট্রিক শকও। ইতিমধ্যেই সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে (ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় অনলাইন)। বড় ভাইকে রাতেই উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু আক্রান্ত নাবালকের এখনও কোনও হদিশ মেলেনি।
ভিডিয়ো দেখে শিউরে ওঠে কিশোরের পরিবার। অভিয়োগ দায়ের হয় রবীন্দ্রনগর থানাতে। তদন্তে নামে পুলিশও। রাতেই মোস্তাফা এবং তৌহিদকে আটক করা হয়। দু’জনেই শাহেনশা-র অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ।