• বিরোধী দলের সমর্থকদের উপর হামলা গণতন্ত্রের মূলে আঘাত: সুপ্রিম কোর্ট
    এই সময় | ০৪ জুন ২০২৫
  • পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় কড়া মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের। ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে সমর্থন করার জন্য কয়েকটি পরিবারের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের কয়েকজন সমর্থকদের বিরুদ্ধে। হামলায় অভিযুক্ত ৬ জনকে জামিন দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার ওই মন্তব্য করে শীর্ষ আদালত ৬ জনের জামিন খারিজ করে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য, ‘এই ঘটনা গণতন্ত্রের মূলে আঘাত।’

    সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি সন্দীহ মেহতার ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, শুধুমাত্র বিজেপিকে সমর্থন করার জন্যই ভোটের ফল প্রকাশের দিন হামলা চালিয়েছিল অভিযুক্তরা। বিচারপতিরা বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি, অভিযুক্তরা বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীদের ভয় দেখাতে ওই কাজ করেছিল।’

    জামিনে আর্জি খারিজের শুনানিতে বিচারপতি মেহতা বলেছেন, ‘যে ভাবে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে, তাতে অভিযুক্তদের প্রতিহিংসামূলক আচরণ স্পষ্ট হয়েছে। যে কোনও প্রকারে বিরোধী দলের সমর্থকদের দমিয়ে রাখতে এই কাজ হয়েছে। এই ঘটনা গণতন্ত্রের মূলে আঘাতের থেকে কম কিছু নয়।’

    আক্রান্ত সমর্থকের স্ত্রীর চুলের মুঠি ধরে মারধরের অভিযোগ ছিল। অভিযুক্তরা ওই মহিলাকে যৌন হেনস্থা করতে যাচ্ছিল বলেও অভিযোগ। সেই সময়েই নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে দেন আক্রান্ত মহিলা। আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। তাতেই ভয় পেয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।

    ৬ অভিযুক্তরে জামিন নাকচ করেছেন বিচারপতিরা। তাঁরা বলেছেন, ‘যদি অভিযুক্তরা জামিনে থাকে, তাহলে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ বিচার হওয়া অসম্ভব। যে মাত্রায় এই অপরাধ হয়েছে, তা গণতন্ত্রের মূলে আঘাতের সমতুল্য। জামিনে থাকলে বিচারপ্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার করবে অভিযুক্তরা, সেই কারণেই অভিযুক্তদের জামিন খারিজ করা হলো।

    ২০২১ সালের ২ মে ঘটনাটি ঘটেছিল বীরভূমের সদাইপুরের একটি গ্রামে। প্রাণ বাঁচাতে গ্রামছাড়া হয় ওই পরিবার। ৩ মে, সদাইপুর থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে, থানার ওসি অভিযোগ নেয়নি বলে অভিযোগ পরিবারের। এই ধরনের ঘটনাগুলি নিয়ে মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে। ২০২১ সালের অগস্টে কলকাতা হাইকোর্ট ওই ঘটনা সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। তার পরে ওই বছরের ডিসেম্বরেই কেস দায়ের করে সিবিআই।

  • Link to this news (এই সময়)