জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জল্পনা চলছিলই। কংগ্রেস ছেড়ে শেষপর্যন্ত তৃণমূলে যোগ দিলেন শংকর মালাকার। 'পিচে সুইং আছে, আরও উইকেট আসবে', ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য অরূপ বিশ্বাসের। বললেন, 'দেখতে থাকুন। অনেক সাংবাদিক সম্মেলন করতে হবে'।
উত্তরবঙ্গে দলের অন্যতম দাপুটে নেতা। ২ বারের বিধায়ক। ২০ বছর ধরে দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের সভাপতিও ছিলেন। সেই শংকর মালাকারই এবার হাত ছেড়ে জোড়াফুলে। এদিন তৃণমূলের যোগ দিয়ে শংকর বলেন, 'আমি মনে করি বিজেপির সঙ্গে লড়াই করতে গেলে, কংগ্রেস থেকে হবে না। একমাত্র মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস, উত্তরবঙ্গে যে ছারখার করছে বিজেপি, তার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবে'। তাঁর সাফ কথা, 'আমি দশ বছর বিধায়ক ছিলাম। বিরোধী দলে ছিলাম। মানুষের সেবা করতে পারিনি। পরিষেবা দিতে পারিনি। আমি মনে করি, শাসকদলের না থাকলে মানুষকে পরিষেবা দেওয়া যায় না এবং মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছি'।
শংকরের আরও বক্তব্য, '২০১৪ সাল থেকে বিজেপি যখন কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে, তারপর উত্তরবঙ্গ নিয়ে ছারখার করছে। একদিকে কামতাপুরী রাজ্যের লোভ দেখানো হচ্ছে। একদিকে গোর্খাল্যান্ডে লোভ দেখানো হচ্ছে। একদিকে উত্তরবঙ্গ আলাদা রাজ্যের লোভ দেখানো হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ-সহ গোটা বাংলায় যে উন্নয়ন হচ্ছে, সেই উন্নয়নে শামিল হয়ে আগামী দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নেতৃত্বে কাজ করতে চাই। আমরা দৃঢ় বিশ্বাস, আগামীদিনে উত্তরবঙ্গে তৃণমূল দল শক্তিশালী হবে। বিজেপিকে আমরা নিশ্চিতভাবে পরাজিত করতে পারব'।
এদিকে চুপ করে বসে নেই কংগ্রেসও। দার্জিলিংয়ের জেলা সভাপতি-সহ দলের যাবতীয় পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। আপাতত দায়িত্ব সামলাবেন সুবীন ভৌমিক, অলকেশ চক্রবর্তী-সহ চার নেতা।