• বিজেপির বঙ্গভঙ্গের ‘চক্রান্ত’ রুখতে ব্যর্থ কংগ্রেস! ‘তৃণমূলই পারে আটকাতে’, বলছেন কংগ্রেসত্যাগী শংকর
    প্রতিদিন | ০৪ জুন ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপির বঙ্গভঙ্গের চক্রান্ত রুখতে ব্যর্থ কংগ্রেস!  বিজেপিকে রুখতে পারে একমাত্র তৃণমূলই। তৃণমূলে যোগ দিয়েই প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে সরব শংকর মালাকার। তিনি বললেন, “কংগ্রেসে থেকে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে লড়াই করা যাবে না।” 

    বিরোধীদের অভিযোগ, ভোট আসলেই গেরুয়া শিবিরের প্রধান হাতিয়ার হয়ে ওঠে বঙ্গভঙ্গ ইস্যু। উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য করার দাবি অনেকবারই উঠে এসেছে। সঙ্গে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিও তোলেন গোর্খাদের একাংশ। এই দাবিকে কাজে লাগিয়ে আলাদা রাজ্যের ‘খুড়োর কল’ ঝুলিয়ে প্রতিবার ভোট বৈতরণী পার করতে চায় বিজেপি। বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনেও সেই আবেগে ‘সুরসুড়ি’ দিয়ে উত্তরবঙ্গেরস কয়ে একটি আসনও জিতেছে বিজেপি। সংগঠনও বেশ মজবুত। উত্তরবঙ্গের নেতা শংকর মালাকারের বক্তব্য, জাতীয় দল হিসাবে কংগ্রেস সেই চক্রান্ত রুখতে পারেনি। তৃণমূলই একমাত্র বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করে গিয়েছে। তাই কংগ্রেসে থেকে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে লড়াই করা যাবে না।

    সুব্রত বক্সি ও অরূপ বিশ্বাসের হাত ধরে আজ, বুধবার তৃণমূলে যোগ দিয়ে বর্তমান প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বকে একহাত নিয়েছেন তিনি। রাজ্যে কংগ্রেসের বর্তমান নেতৃত্বকে অযোগ্য বলেছেন তিনি। শংকরের তোপ, এই নেতৃত্বের উপর নির্ভর করে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করা যাবে না। তিনি বলেছেন, গেরুয়া শিবিরকে রুখতে পারে একমাত্র তৃণমূলই। 

    ৭০ বছর বয়সি শংকর মালাকারের রাজনীতিতে প্রবেশ কংগ্রেসের হাত ধরেই। উত্তরবঙ্গে মাটিগাড়া নকশালবাড়ি এলাকার বিধায়ক ছিলেন তিনি। ২০১১ থেকে ২০২১ টানা দশ বছর বিধানসভায় হাত শিবিরের হয়ে জনপ্রতিনিধিত্ব করেছেন। সেই সুবাদে উত্তরবঙ্গের একটা বড় অংশে বিশেষত তপসিলি সম্প্রদায়ের মধ্যে তাঁর প্রভাব অনেক! শংকর মালাকারের হাত ধরেই সেখানে কংগ্রেসের সংগঠন এখনও পর্যন্ত যথেষ্ট শক্তিশালী। ছাব্বিশ ভোটের আগে শংকর মালাকার শিবির বদল করতে পারেন, এমন গুঞ্জন ছিল। সেই জল্পনাই সত্যি হল। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, ছাব্বিশের নির্বাচনে মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি আসনেই তাঁকে প্রার্থী করতে পারে ঘাসফুল শিবির।
  • Link to this news (প্রতিদিন)