হকারদের দাপটে প্রায় বন্ধ গির্জার প্রবেশপথ, প্রশ্নের মুখে পড়তেই অভিযান পুলিশের
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৪ জুন ২০২৫
গির্জার প্রবেশপথ দখল করে দোকান বসিয়েছিলেন হকাররা। অভিযান চালিয়ে তাঁদের উচ্ছেদ করে দিল পুলিশ। কলকাতার ব্রেবোর্ন রোডে অবস্থিত ‘ক্যাথেড্রাল অব দ্য মোস্ট হোলি রোজারি’ নামে একটি পুরনো গির্জার সামনে থেকে হকারদের সরিয়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার এর জন্য অভিযান চালায় পুলিশ ও ট্র্যাফিক বিভাগের যৌথ দল। দীর্ঘদিন ধরেই এই গির্জার সামনে হকাররা অস্থায়ী দোকান বসানোর ফলে প্রবেশপথ প্রায় ঢেকে গিয়েছিল।
জানা যায়, অভিযানে পুলিশ রাস্তার ওপর রাখা হকারদের মালপত্র বাজেয়াপ্ত করে। গির্জায় আগত মানুষদের নির্বিঘ্নে ঢুকতে ও বেরোতে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেই উদ্দেশ্যেই এই অভিযান বলে জানিয়েছে পুলিশ। উচ্ছেদের পর হকারদের কড়া ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, গির্জার গেটের সামনে আর দোকান বসানো যাবে না। মানুষের যাতায়াতের জন্য জায়গা খালি রাখতে হবে।
পুলিশ জানিয়েছে এই ধরনের অভিযান বন্ধ থাকবে না। গির্জার সামনে যাতে আর কেউ দখল না করতে পারে সেজন্য নিয়মিত নজরদারি চালানো হবে। লালবাজারের এক পুলিশ কর্তা বলেন, ‘আমরা চাই পবিত্র এই গির্জার পরিবেশ ও মর্যাদা অক্ষুণ্ণ থাকুক। যারা প্রার্থনায় আসবেন তাঁদের যেন কোনও রকম অসুবিধা না হয়।’
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, পুলিশ আগেই হকারদের সরে যেতে বলেছিল। গির্জার সামনে প্রায় ৭০ শতাংশ জায়গা দখল করে রেখে ছিলেন হকাররা। পুলিশ এসে দোকানের জিনিসপত্র সরিয়ে দিলে হকাররা রাস্তায় না বসে ফুটপাতে উঠে আসে। যদিও ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, আগেও পুলিশ এরকম অভিযান চালিয়েছিল। কিন্তু, তারপরই আবার রাস্তা দখল শুরু হয়। তাই নিয়মিত অভিযান চালাতে হবে।
শুধু এই গির্জাই নয়, শহরের বহু পুরনো মন্দিরের সামনেও এভাবে দখল করে রয়েছেন হকাররা। অনেক জায়গায় প্লাস্টিকের ছাউনি, দোকানের জিনিসপত্র জড়ো করে রাখা রয়েছে। তার ফলে মন্দির দেখা পর্যন্ত যাচ্ছে না। ভক্তদের অনেকেই জানিয়েছেন, এতে তারা মন্দিরে ঢুকতে সমস্যায় পড়ছেন। এই অবস্থায় পুণ্যার্থীরা চাইছেন যে মন্দিরের সামনের অংশ থেকে হকারদের সরানো হোক।