বয়ঃসন্ধির অদ্ভুদ কৌতুহল! বিষ কেমন খেতে? তার স্বাদই বা কেমন? খেলে কী হয়? যাচাই করে দেখতে চেয়েছিল মুর্শিদাবাদের সুন্দরপুর গ্রামের বাসিন্দা নিতাই বাগদি (১৫)। পরিণতি মৃত্যু। কেন এমন করল ছেলে? ভেবেই কুলকিনারা পাচ্ছেন না পরিবারের লোকজন। মঙ্গলবার রাতে চিকিৎসাহীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে ওই পড়ুয়ার।
পরিবারের সদস্যরা জানান, বিষ সম্পর্কে নানা রকম কৌতূহল থেকে পরিবারের অজ্ঞাতে লুকিয়ে লুকিয়ে প্রায় প্রতিদিনই অল্প অল্প করে বিষ পান করতে শুরু করে নিতাই। কোনও প্রতিক্রিয়া না হওয়ায় গত শুক্রবার সেই বিষই নিতাই একটু বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলে বলে দাবি পরিবারের। কিছুক্ষণের মধ্যেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। ঘটনা জানেতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে তাকে প্রথমে কান্দি হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের লোকজন। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার গভীর রাতে তার মৃত্যু হয়।
মৃত নাবালকের কাকা গৌরাঙ্গ বাগদি জানান, নিতাই স্থানীয় সুন্দরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়তো। কেন এমনটা করল ওকে তা জিজ্ঞাসা করেছিলাম। আমাকে বলল, বিষ কেমন খেতে হয় তা জানার জন্য খেয়েছিল। ও বলেছিল, ক’দিন ধরেই অল্প অল্প করে বিষ খেয়েছে। শেষ দিন বাড়াবাড়ি হয়। তবে ওর কেন এমন ইচ্ছা হলো, তা বুঝতে পারছি না।
নবম শ্রেণিতে পাঠরত এক পড়ুয়ার এমন কেন ইচ্ছে হলো? সন্দিহান সকলেই। মনোবিদ শান্তরূপ দে বলেন, ‘বয়ঃসন্ধির সময়ে সবারই কৌতূহল বেশি থাকে। ছেলেটি অনেকদিন ধরেই বিষ খাচ্ছিল। পরিবারের লোকজনের গাফিলতিও রয়েছে। গ্রাম বাংলার সাধারণ মানুষ হয়তো অবজ্ঞা করেছে বিষয়টি।’ তাঁর কথায়, শুধু বিষ নয়, অনেক সময়ে নেশার দ্রব্য বা অজানা কোনও খাবারের বিষয়েও কৌতূহল হয়। সেই কারণেই ছেলেমেয়েরা এরকম কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলছে। বিষয়টি নিয়ে অভিভাবকদের আরও সচেতন হাওয়া উচিত।