বাড়িতে দু’জন সরকারি চাকরি করেন। একজন কেন্দ্র সরকারের কর্মী, তাতে আবার রেল। আরেক জন্য রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্মী। অভিযোগ, তার পরেও ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে ঘর পেয়েছেন নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকের নবালা গ্রামপঞ্চায়েতের বুঁইচা বসাকপাড়ার বাসিন্দা মন্টু বসাক। অভিযোগকারী তাঁরই প্রতিবেশী পলাশ দাস। পলাশের দাবি, বৃদ্ধ মন্টুর ছেলে, বৌমা দু’জনই সরকারি চাকরি করেন। হিসেবমতো মন্টুর ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে ঘর পাওয়ার কথা নয়। তার পরেও বাড়ি পেয়েছেন বলে অভিযোগ পলাশের। এই বিষয়ে বিডিও–র কাছে লিখিত অভিযোগও জানিয়েছেন তিনি।
পলাশের দাবি, সরকারি প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকায় ঘর তৈরির প্রথম দফার কাজও শেষ হয়ে গিয়েছে মন্টুর। দ্বিতীয় দফার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। পলাশ দাস বলেন, ‘আমার পাশের বাড়ি, সবই জানি। মন্টুর ছেলে রেলে কাজ করেন, বৌমা স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্মী। শান্তিপুরে কাজ করেন বৌমা। তবে ছেলে কর্মস্থলে থাকেন, বাড়িতে কম আসেন। সস্ত্রীক মন্টুও ও বাড়িতেই থাকেন।’
এ নিয়ে বিডিওকে লিখিত ভাবে পলাশ জানিয়েছেন, ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে মন্টুকে ঘর (রেফ নং ডব্লুবি ১২১৫২৮৩১৪) দেওয়া হয়েছে।’ এ প্রসঙ্গে শান্তিপুরের বিডিও সন্দীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘ঘটনার ন’মাস পরে এক প্রতিবেশী এই অভিযোগ করেছেন। খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এই অভিযোগ আরও আগেও করতে পারতেন, তা হলে আরও ভালো হতো।’
যদিও মন্টুর স্ত্রী অঞ্জলি জানান, তাঁরা আলাদাই থাকেন। ছেলের ঘরের পাশে টিনের ঘর তাঁদের। সেখানেই থাকেন স্বামী-স্ত্রী। স্বামী-স্ত্রী তাঁত বুনে খান। ছেলে টুকটাক দেখেন বলেও জানান মন্টুর স্ত্রী। তবে মন্টুর ছেলে বা ছেলের বৌয়ের কোনও বক্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি।
এ নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনীতির কচকচানি শুরু হয়ে গিয়েছে। শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ–সভাপতি তথা বিজেপি নেতা চঞ্চল চক্রবর্তীর দাবি, ‘নিয়ম ভেঙে ঘর পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। এর তদন্ত হওয়া দরকার। ঠিক মতো তদন্ত হয়নি যে বোঝাই যাচ্ছে।’ যদিও স্থানীয় পঞ্চায়েতে সদস্যর স্বামী তথা তৃণমূলের বুথ সভাপতি স্বদেশ দাসের কথায়, ‘বিডিও অফিস খতিয়ে দেখে মন্টুকে যোগ্য মনে করেছে বলেই ঘর দেওয়া হয়েছে।’