পেশা: ‘ফুল টাইম চোর’
সম্পত্তি: প্রাসাদোপম বাড়ি, ভেতরেই মিনি জিম, দামি আসবাব
কর্মফল: শ্রীঘর যাপন
গল্প নয় একদম সত্যি!
চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছিল চোর। এর পর নিয়ম মোতাবেক তদন্তও শুরু করে পুলিশ। চোরের বাড়িতেও যান তারা। সেখানে গিয়ে ভিরমি খাওয়ার মতো অবস্থা হয় তাদের। চোরের বাড়ি নাকি রাজপ্রাসাদ? ধরতে পারবেন না! কী নেই সেখানে, মিনি জিম, দামি মার্বেল পাথর, নিউ ডিজাইনের আসবাব, চোখে ধাঁধাঁ লাগানো বাথরুম—আরও কত কী। দাবি পুলিশকর্মীদেরই।
গত রবিবার হাওড়ার রাজাপুর থানার পুলিশ দক্ষিণ ২৪ পরগনার নোদাখালি থানার ভাটকাখালি গ্রামের বাসিন্দা অমিত দত্তকে চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবিবার রাতে ধৃত অমিত ঘোষালচক হালদার পাড়ার বাসিন্দা বঙ্কিম হালদারের বাড়িতে চুরি করতে যান বলে অভিযোগ। সেই সময়ে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় রাজাপুর থানার পুলিশ এবং তাঁকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। হাওড়ার গ্রামীণের পুলিশ সুপার সুবিমল পাল জানান, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে সে নিজের নাম-ঠিকানা ভুল বলে। এর পর নিজের সঠিক ঠিকানা দেওয়ার পরে পুলিশ তাঁর বাড়িতে যায়। সেখানে গিয়ে অমিতের বাড়ি দেখে রীতিমতো অবাক হয়ে যান তদন্তকারীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশকর্মী বলেন, ‘একেবারে রাজকীয় বাড়ি। দামি মার্বেল। গোটা বাড়িতে দামি আসবাব। শরীরচর্চার জন্য ট্রেডমিলও রয়েছে। আমরা অবাক হয়ে গিয়েছিলাম।’
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, উলুবেড়িয়া নিমদিঘি, রাজাপুর-সহ বিভিন্ন এলাকায় চুরির সঙ্গে যুক্ত তিনি। শুধু তাই নয়, জাতীয় সড়কে একাধিক ছিনতাই কাণ্ডের নেপথ্য ‘খলনায়ক’ যে সেই, জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। চুরির টাকাতেই কি অমিতের সমস্ত ঠাটবাট? উত্তর খুঁজছে পুলিশ।