আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মালিকের নির্মম অত্যাচারের শিকার বাংলার ছেলে। দিনের পর দিন অত্যাচারের জেরে শয্যাশায়ী সে। হাঁটাচলার ক্ষমতাটুকুও নেই। কারণ? দু'মুঠো ভাত ফেলে দিয়েছিল সে। তার জেরে বেধড়ক মারধর করা হয় ১২ বছরের নাবালককে। দুই বছর পর বাড়ি ফেরার পর নাবালককে দেখে চমকে ওঠে পরিবার।
নাবালকের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, বছর দুয়েক আগে পারিবারের আর্থিক অনটনের কারণে গুজরাটে কাজে পাড়ি দেয় সে। রাজকোটের শিকারপুরের এক বাসিন্দার মাধ্যমে সিটি গোল্ডের কাজে যোগ দেয়। 'ছেলের মতো রাখব', এমন প্রতিশ্রুতি দিলেও শেষমেশ তার উল্টোটাই ঘটেছে। প্রায়ই বেধড়ক মারধর করা হত নাবালককে। বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথাও বলতে দিত না। খানিকটা ভাত নষ্ট করার জন্যে পাশবিক অত্যাচার চালাত তার উপর।
পরিবারের অভিযোগ, ভাত নষ্ট করার জেরে নাবালককে তুমুল মারধর করা হয় প্রায়ই। ঠিকমতো হাঁটার ক্ষমতাও হারিয়েছে সে। অত্যাচার এমনই চরম পর্যায়ে পৌঁছয়, তার গলায় ঘা পর্যন্ত হয়ে গেছে। অবস্থা বেগতিক বুঝে এক যুবকের মাধ্যমে তাকে হাওড়া পাঠিয়ে দেয় মালিক। গত রবিবার হাওড়া থেকে নাবালককে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। অত্যাচারের বিবরণ জেনে পুরো বিষয়টি কালনা থানায় জানিয়েছে ওই নাবালকের পরিবার। বর্তমানে কালনা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে নাবালক।