জানার জন্য প্রতিদিনই লুকিয়ে লুকিয়ে ঘরে রাখা কীটনাশক অল্প অল্প করে পান করত নবম শ্রেণির পড়ুয়া এক নাবালক। জানা গিয়েছে, অল্প অল্প পান করে তাঁর কোনও শারীরিক অসুস্থতা বা সমস্যা হয়নি। বিষের স্বাদ পেলেও তার প্রতিক্রিয়া শরীরে না হওয়ায় কৌতূহল দিনদিন আরও বাড়তে থাকে।
কিন্তু গত শুক্রবার সেই বিষ একটু বেশি পরিমাণে পান করতেই মর্মান্তিক পরিণতি হল নাবালকের। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার গভীর রাতে মারা যায় সে। তাঁর বাড়ি মুর্শিদাবাদের বড়ঞাঁ থানার সুন্দরপুর গ্রামে।
মৃত নাবালকের কাকা জানান, বিষ সম্পর্কে নানা রকম কৌতুহল থেকে পরিবারের অজ্ঞাতে লুকিয়ে লুকিয়ে প্রায় প্রতিদিনই অল্প অল্প করে বিষ পান করতে শুরু করে তাঁর ভাইপো। কিছু হচ্ছে না দেখে গত শুক্রবার সেই বিষই বেশি পরিমাণে পান করে নেয়। এরপরই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করলে তাঁকে প্রথমে কান্দি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার গভীর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। এই বিষয়ে মনোবিদ ডাঃ শান্তরূপ দে বলেন, বয়স সন্ধিকালে ছেলে–মেয়েদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে কৌতুহল হয়। হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই ক্ষেত্রে পরিবারের উদাসীনতা পুরোপুরি দায়ী। যখন পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানত বা বুঝতে পেরেছিল তখন তাদের সচেতন হওয়া জরুরি ছিল।