• ‘সোমার চাকরি থাকলে আমাদের নয় কেন?’ রাজ্যকে চিঠি লিখে পথে দৃষ্টিহীন চাকরিহারা শিক্ষকরা
    প্রতিদিন | ০৫ জুন ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইন সকলের জন্য সমান! তবু যুক্তিতক্কের উপরে উঠে কোনও-কোনও সময়, মানবিকতাকেই অতিরিক্ত গুরুত্ব দেয় আদালত। ঠিক যেভাবে এসএসসির ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হলেও স্বপদে বহাল রয়ে গিয়েছেন ক্যানসার আক্রান্ত শিক্ষিকা সোমা দাস। এবার সেই মানবকিতাকে হাতিয়ার করেই চাকরি টিকিয়ে রাখার দাবিতে পথে নামলেন দৃষ্টিহীন এবং বিশেষভাবে সক্ষম চাকরিহারা শিক্ষকরা। তাঁদের প্রশ্ন, সোমার জন্য কোর্ট মানবিক হলে, তাঁদের বেলায় হবে না কেন?

    সোমা দাস ক্যানসার আক্রান্ত শিক্ষিকা। মানবিকতার খাতিরে তাঁকে চাকরিতে বহাল রেখেছে আদালত। এই যুক্তিকে হাতিয়ার করে রাজ্য়পাল, মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষাসচিব এবং এসএসসির চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছে অল বেঙ্গল ব্লাইন্ড টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন। তাঁদের দাবি, দৃষ্টিহীন পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেওয়া আর বাকি পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার মধ্যে পার্থক্য় অনেক। দৃষ্টিহীনদের পরীক্ষা দিতে হলে একজন ‘রাইটার’ লাগে। যিনি শুনে পরীক্ষায় উত্তর লিখবেন। সেই ‘রাইটার’ না পাওয়া গেলে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়।

    এ প্রসঙ্গে অল বেঙ্গল ব্লাইন্ড টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তাপস রায় বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে যে ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিল হয়েছে। তার মধ্যে আমাদের দৃষ্টিহীন ৭০ জনের বেশি শিক্ষক যোগ্য হয়েও চাকরিহারা। আমরা চাই, সোমার মতো আমাদের বিষয়টি সরকার মানবিক দিক থেকে দেখুক।” পথে নেমে আন্দোলনের ডাকও দিয়েছেন তাঁরা।

    অন্যদিকে সোমা দাসের চাকরি থাকলেও চাকরি হারিয়েছেন ক্যানসার আক্রান্ত সায়নগার ভাওয়াল। ফাঁসিদেওয়ার বিধাননগর কুরবান আলি হাই স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক। মানবিকতার খাতিরে তিনি চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। 

    আইনের চোখে সকলে সমান। কিন্তু রাষ্ট্রে আইনকানুন তৈরি হয়েছে সাধারণ মানুষকে ভালো রাখতে। তাই যুক্তিতক্কের উপরে উঠে মানবিকতার খাতিরে বহু সিদ্ধান্ত নেয় আদালত। এক্ষেত্রে যুক্তি মান্যতা পায় নাকি মানবিকতা, সেদিকে তাকিয়ে আন্দোলনকারীরা। 
  • Link to this news (প্রতিদিন)