মাত্র কয়েক মিনিটের ঝড়। তাতেই লন্ডভন্ড হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন এলাকার দু'টি গ্রাম। গাছ এবং বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে যাওয়া ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৩০টি বাড়ি।
অন্য দিকে, বুধবার বিকালেই বেলদা থানার এলাকায় বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির।
ঝড়ের দাপটে ক্ষতি
বুধবার দিনভর ছিল তীব্র দাহদাহ। আর বিকালেই হঠাৎই ঘূর্ণিঝড় দাঁতন ১ নম্বর ব্লকের দু'টি গ্রামে। সেখানকার চকইসমাইলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মধুঁবৈচা এবং বাহারদা গ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যায় ক্ষণিকের এই ঘূর্ণিঝড়। তার জেরে বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি। সেই সঙ্গে উপড়ে যায় গাছ। বড় বড় গাছ ভেঙে পড়ে ঘরবাড়ির উপর। প্রশাসনের আধিকারিকরা জানান, ওই ঝড়ে দু'টি গ্রামের ৩০টিরও বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে দু'টি গ্রাম।
এলাকার বিডিও চিরঞ্জিৎ রায় জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করতে বলা হয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েতের আধিকারিকদের । বৃহস্পতিবার প্রশাসনের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করবে বলেও জানান তিনি। ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে দ্রুত ত্রাণসামগ্রী পান সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন দাঁতন ১ এলাকার বিডিও।
বাজ পড়ে মৃত্যু
অন্যদিকে, বুধবার বিকালেই বাদাম তুলতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। এই ঘটনা বেলদা থানার হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জুনিয়া এলাকায়। মৃতের নাম রাজকুমার দুয়ারী (৪৫)। তাঁর বাড়ি দাঁতন থানার তুরকা গ্রাম পঞ্চায়েতের নারায়ণচক এলাকায়। তিনি জুনিয়া এলাকায় মাঠে বাদাম তোলার কাজে গিয়েছিলেন। পরে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালেও হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জলগোদা এলাকায় বাজ পড়ে মৃত্যু হয় আর এক জনের। সেখানে বাবার সঙ্গেই মাঠে বাদাম তুলেছিলেন ২৫ বছরের যুবক অরূপ দাস। তখনই বাজ পড়ে, বাবার চোখের সামনে মৃত্যু হয় অরূপের।