হামলার ঘটনায় জেলা সভাপতি ফোন না করায় অভিমান গৌতমের
বর্তমান | ০৫ জুন ২০২৫
সংবাদদাতা, বালুরঘাট: গঙ্গারামপুরের প্রাক্তন বিধায়ক গৌতম দাসের গাড়িতে হামলার ঘটনায় এখনও তাঁর খোঁজ নেয়নি দলীয় নেতৃত্ব। তৃণমূলের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতিকে বিষয়টি মেসেজ করে জানালেও তিনি খোঁজ নেননি বলে অভিযোগ। এতে দলের উপরে অভিমানী গৌতম দাস। দলের অন্য গোষ্ঠীর নেতারা খোঁজ না নিলেও এক ঝাঁক নেতাকে পাশে পেয়েছেন গৌতম। দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার, জেলাপরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি ললিতা টিগ্গা, আইএনটিটিইউসি সভাপতি নামিজুর রহমান, টিএমসিপির নেতা অমর ঘোষ সহ অনেককেই হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে গৌতমের পাশে দাঁড়িয়েছেন। খোঁজ নিচ্ছে বাকি বিরোধী গোষ্ঠীর নেতারাও। একঝাঁক নেতৃত্ব ও অনুগামীদের নিয়ে বুধবার পুলিস সুপারকে নালিশ জানালেন গৌতম। পুলিস সুপার চিন্ময় মিত্তাল বলেন, পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিস সুপারের সঙ্গে দেখা করে গৌতম বলেন, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছি। হামলার ঘটনায় কে দায়ী? প্রাক্তন বিধায়ক বলেন, কে এই ঘটনার পিছনে রয়েছে, তা এখনই বলতে পারব না। পুলিস বিষয়টি দেখছে। আমার নিজের এলাকায় তৃণমূলের বিরোধী বলে কোনও দল নেই। ওখানে সবাই তৃণমূল। একরাশ অভিমান নিয়ে গৌতম বলেন, বিষয়টি আমি দলের জেলা সভাপতিকে মেসেজ করে জানিয়েছি। কিন্তু কেউ এখনও খোঁজ নেয়নি। হয়তো তিনি মেসেজ দেখেননি। এবিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলেন, তিনি (গৌতম) রাজ্য কমিটির সদস্য। তিনি নিশ্চয়ই রাজ্য কমিটিকে জানিয়েছেন। আমার মতো জেলা সভাপতিকে তিনি নাও জানাতে পারেন। তিনি আমাকে একটা ফোন করতেই পারতেন। মেসেজই বা করবেন কেন? আমার সঙ্গে তো কথা হয়। তিনি হয়তো আমাকে বিশ্বাস করতে পারেননি। তাই জানাননি। তবে অবশ্যই আমি পাশে আছি।
জেলায় পৃথক গোষ্ঠীর নেতা হিসেবে পরিচিত গৌতম দাস, মৃণাল সরকারেরা। গাড়িতে হামলার ঘটনায় একটি গোষ্ঠীর নেতাদের দেখা না মিললেও গৌতম পাশে পেয়েছেন মৃণালদের। প্রাক্তন জেলা সভাপতি মৃণাল বলেন, ‘রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের গাড়িতে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছি। আমরা গৌতমের পাশে রয়েছি।’ সোমবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা প্রাক্তন বিধায়ক তথা বর্তমান রাজ্য সাধারণ সম্পাদক গৌতম দাসের গাড়িতে হামলা হয়। গাড়ির কাঁচ ভেঙে যায়। নিজস্ব চিত্র