৫ বছরেই উন্নত আলুর বীজ উৎপাদনে পুরোপুরি স্বনির্ভর হবে বাংলা: কৃষিমন্ত্রী
বর্তমান | ০৫ জুন ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: ২০৩০ সালের আগেই উন্নতমানের আলুর বীজ উৎপাদনে একশো শতাংশ স্বনির্ভর হবে বাংলা। বুধবার জলপাইগুড়িতে এসে এমনটাই দাবি করলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, মেদিনীপুর, নদীয়া ও জলপাইগুড়িতে সরকারিভাবে আলুর বীজ উৎপাদনের কাজ চলছে। ইতিমধ্যেই ওই কাজে সাফল্য এসেছে। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২০৩০ সাল। কিন্তু তার আগেই আমরা আলুর বীজ উৎপাদনে পুরোপুরি স্বনির্ভর হতে পারব বলে আশাবাদী। আলুর বীজের জন্য ভিনরাজ্যের উপর আর আমাদের নির্ভর করতে হবে না। এদিন জলপাইগুড়ির মোহিতনগরে কৃষি খামার ঘুরে দেখেন মন্ত্রী। পরে দার্জিলিং, কালিম্পং ও জলপাইগুড়ি জেলার কৃষি আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন। জলপাইগুড়ি সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠক থেকে কৃষিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কোন জেলা কেমন কাজ করছে, তা নিয়ে রিপোর্ট তলব করেন মন্ত্রী।
পরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের তিন জায়গায় সরকারি খামারে আমরা যেমন আলুর বীজ উৎপাদন করছি, তেমনই ফার্মার্স প্রোডিউসার অর্গানাইজেশন (এফপিও) আলুর বীজ উৎপাদন করছে। দ্রুত যাতে প্রচুর পরিমাণে আলুর বীজ উৎপাদন করা সম্ভব হয়, সেকারণে কয়েকটি জায়গায় বেসরকারি সংস্থাকেও এই প্রকল্প দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, কোনওভাবে যাতে সারের কালোবাজারি না হয়, আধিকারিকদের বিশেষভাবে সেদিকে নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এদিনের বৈঠকে। সেইসঙ্গে বলা হয়েছে, কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। ফার্ম মেকানাইজেশনে গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ, অনেক সময় দেখা যায়, আচমকা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পূর্বাভাস পাওয়া গেল। অথচ সেসময় জমিতে কৃষকের ফসল রয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে দ্রুত যাতে বিপর্যয়ের আগেই যন্ত্রের সাহায্যে কৃষক ওই ফসল কেটে ঘরে তুলতে পারেন, সেকারণে ফার্ম মেকানাইজেশনের প্রসার ঘটানো দরকার।
কৃষিমন্ত্রীর দাবি, কৃষকের মাথার উপর ছাতা হয়ে রয়েছে বাংলা শস্যবিমা। কৃষককে এজন্য কোনও প্রিমিয়াম দিতে হয় না। পুরোটাই রাজ্য সরকার তা বহন করে। কৃষক যাতে আরও বেশি করে লাভবান হতে পারেন, সেটাই আমাদের সরকারের একমাত্র লক্ষ্য।
জলপাইগুড়িতে মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। - নিজস্ব চিত্র।